শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
spot_img

ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরতে ট্রেন যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল আযহা উদযাপন শেষে রাজধানী ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবি মানুষরা। ঈদের আগে ঘরে ফেরার মতো এবার ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতেও পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ট্রেন যাত্রীদের।

অনলাইনে টিকেট কাটতেও নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আর টিকিটের জন্য যাত্রীদের হাহাকার অবস্থা । বাড়ি ফিরতে যেমন ট্রেনের টিকিটের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা র্দীঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নেওয়ার ভোগান্তি পোহাতে হয় ঠিক একই ভাবে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফিরতেও অনলাইনে টিকেট সংগ্রহ করতে বাহিরের অনলাইনের ব্যবসায়ীদের নিকট দোঁড়ঝাপ পোহাতে হচ্ছে ট্রেন যাত্রীদের।

নওগাঁ জেলার একমাত্র আন্তঃ নগর ট্রেন স্টপেজ আহসাননগঞ্জ স্টেশান ঘুরে দেখা গেছে ঈদের ছুটি শেষ দিন থেকে ঢাকাগামী ট্রেন যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীরা ঢাকামূখী ট্রেনের ভিড় ছিল দেখার মতো। উত্তর বঙ্গের বিভিন্ন স্টেশন থেকে সাতটি ট্রেন যাত্রী নিয়ে সান্তাহার হয়ে আহসানগঞ্জ স্টেশনের উপড় দিয়ে ঢাকা যাচ্ছে অথচ আহসানগঞ্জ স্টেশনে নীলসাগর ও দ্রুতযান আন্তঃনগর ট্রেন দুটি ছাড়া অন্যকোন আন্তঃনগর ট্রেনের বিরতি না থাকায় অত্র এলাকাবাসী রেল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর বিট্রিশ শাসনের সময় থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের অনেক বড়বড় মানুষের পা পড়েছিল স্টেশনটিতে। ১৯৭২ সালে আহসানগঞ্জ স্টেশন স্থাপিত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,মহাত্নাগান্ধী, বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ অনেক মনীষীদের পদধুলি পড়েছিল স্টেশনটিতে। কাজে লাগাতে পারলে এই অঞ্চলের অর্থনীতি বৃদ্ধিসহ নিরাপদ যাত্রাপাবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

এদিকে ছুটির পর কোন ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে পৌঁছায়নি। তবে প্রতিটি ট্রেনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ভিড় ঠেলে নারী পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ সবাই ব্যস্ত ট্রেনে উঠছে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে রাজধানী ঢাকায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে। তবে ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা আসনের চেয়ে দ্বিগুন ছিল। ঈদের সরকারি ছুটির পর থেকে বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি অফিস খুলেছে।

বাগমারা থেকে কর্মস্থল ফেরার পথে আহসানগঞ্জ স্টেশনে ট্রেনযাত্রী আফজাল হোসেন বলেন, ঈদের সময়  ঢাকা থেকে ট্রেনে আসতে যে ধরনের দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল ঠিক গ্রাম থেকে ঢাকা ফিরতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনে আহসানগঞ্জ জয়পুরহাট থেকে আহসানগঞ্জ আসি। তবে নির্ধারিত সময়েরর চেয়ে একঘন্টা দেরি করে স্টেশনে পৌছেছে ট্রেনটি। তারপরও যাত্রীদের অধিক চাপ। মাধনগর কামাল হোসেন বলেন, একদিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি প্লাট ফরমে বসার কোন ব্যবস্থা নাই, অপরদিকে ছাউনি দিয়ে পানি পড়ে একটু দাঁড়ানোর উপায় নাই। এ ছাড়া আহসানগঞ্জ স্টেশানটিকে একটি হাট বললে কোন ভূল  হবে না। কারন দোকান আর ফল মুলের দোকানে প্লাট ফরমে পা রাখার যায়গা নাই। অপরিস্কার দূর্গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।

রানীনগরের দ্রুতযানের নারী যাত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, নারী যাত্রী হিসেবে পরিবার-পরিজন নিয়ে একটু নির্বিগ্নে যাত্রা করারজন্য ট্রেন বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু ট্রেন পথে বিভিন্ন দূর্ভোগের পর অবশেষে আবার ঢাকায় যাত্রা করছি। প্রতিটি স্টেশনে বিরতির ফলে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কয়েকঘন্টা বিলম্বে স্টেশনে আসছে ট্রেন।

এ বিষয়ে আহসানগঞ্জ রেলস্টেশনের সহকারী মাষ্টার মোঃ ফরিদ আলম বলেন, যেসব যাত্রীরা গ্রামে ঈদ করতে গিয়েছিল তারা আবার ঢাকায় ফিরছেন। তাই যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় এবং ট্রেনে ওঠার সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রতিটি স্টেশনে একটু বেশি সময় ট্রেন দাঁড়াচ্ছে। এতে কিছুটা দেরি করে ট্রেন আসছে এবং ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আহসানগঞ্জ স্টেশন এর নানাবিধ অসুবিধা এবং যাত্রী ছাউনি নষ্টের বিষয়ে উর্দ্ধতন মহলে জানানো হয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যে সমাধান হবে।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়