শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
spot_img

বিএনপি জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চায়: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সংবাদ সিক্সটিনঃ বিএনপি নিজেরা নির্বাচনে যাবে না, অন্যদেরও ভোট দিতে দেবে না। তারা জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চায়। সবাই শান্তিপূর্ণ থাকবেন। কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। প্রমাণ করবেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান।

মানুষ সামনের দিকে যায় আর বিএনপি থাকলে পেছনের দিকে যায়। আমরা ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছিলাম। আর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে আমাদের উৎপাদিত বিদ্যুৎ কমিয়ে আগের জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল। তারা ক্ষমতায় এসে দুঃশাসন, দুর্নীতি করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো মানুষের ওপর অত্যাচার করে।

৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের একেএম শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, মুজিববর্ষে আমার অঙ্গীকার ছিল কোনো মানুষ ভূমিহীন থাকবে না। আমরা ভূমিহীনদের ভূমি দিয়েছি। শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করেছি। মাতৃত্বকালীন ছুটি বাড়িয়েছি। এখন আর শিশুদের জন্য বই কিনতে হয় না। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছি। তবে আপনারা বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হবেন। অযথা বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন না। আমাদের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশের মানুষের নতুনভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবন দেওয়া।

এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীদের খুনি শকুন আখ্যা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেন, অনেকে ভাবছেন, এ নির্বাচন কতটা গুরুত্বপূর্ণ? ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবারের নির্বাচন।

আমাদের মানচিত্রের উপর খুনি শকুন উড়ছে। মাঠে তাদের পথ করে দিচ্ছে ১৯৭৫ সালের পরাজিত শক্তি ও সন্ত্রাসী দল বিএনপি। কয়েকদিন আগে মায়ের বুকে শুয়ে থাকা এক শিশুকে খুনি জিয়ার খুনি সন্তানরা আগুন দিয়েছে। এটা কোন বাংলাদেশ? নেত্রীকে বলতে চাই, আপনি তাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নিন। আমাদের মহিলাদের মিছিল থেকে কাপড় খুলে নেওয়া হয়, আমাদের পুলিশ লাইনের হাসপাতালে আগুন দেওয়া হয়। আমরা এ দৃশ্য ভবিষ্যতে আর দেখতে চাই না।

শামীম ওসমান বলেন, নেত্রীর কাছে চাওয়ার কিছু নেই। আপনি সব দিয়েছেন। আমার নারায়ণগঞ্জের মানুষ মেট্রোরেলে উঠতে চায়। সন্তান কখনও মায়ের কাছে চায় না। মা সন্তানের আবদার এমনিতেই পূরণ করে দেয়।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিয়েছেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জে পা রেখে লাখো নেতাকর্মীর জনসমুদ্র পেরিয়ে সভা মঞ্চে পৌঁছান শেখ হাসিনা।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়