শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
spot_img

মুন্নার মুক্তিতে বাঁধা মিল্টন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কারাগারে বন্দী যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার মুক্তিতে বাঁধা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের উপর। গত কয়েকদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে পোষ্ট করে এ অভিযোগ তুলতে দেখা যায় যুবদলের একাধিক নেতাকর্মীকে।

এসব ফেইজবুক পোষ্টে অভিযোগ তুলে লেখা হয়, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের পদটি বহাল রখার জন্য যুবদলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার মুক্তিতে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করছেন। এমনকি এসব পোষ্টে তাকে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট বলেও উল্লেখ করা হয়।

আমিন ইসলাম নামে যুবদলের এক কর্মী তার ফেইজবুক স্টাটাসে লেখেন, “আজ কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না ভাইয়ের সাথে কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাৎ করে জানা গেলো, মুন্না ভাই গ্রেফতারের মূল হোতা জিজিএফআইয়ের এজেন্ট সরকারের দালাল এই শফিকুল ইসলাম মিল্টন। দালাল মুক্ত যুবদল চাই, মুন্না ভাইয়ের মুক্তি চাই।

উল্লেখ্য, সাংবাদিকদের উপর হামলাসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম মিল্টন। বিএনপি থেকে বহিঃষ্কৃত সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদের সাথে গোপনে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার সূত্রে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে মিল্টনের। বিভিন্ন সূত্রে শোনা যায়, শওকত মাহমুদের ইনসাফ কায়েম কমিটির বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য যেকয়জন বিএনপি নেতা গোপনে লোকজনের যোগান দেয় তারমধ্যে শফিকুল ইসলাম মিল্টন অন্যতম।

এবিষয়ে আব্দুল মোনায়েম মুন্নার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে দলের ভিতরে নানা ধরনের টেকনিকাল সমস্যা তৈরী হবে বলে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে মুন্নার এক ঘনিষ্ঠসূত্রে জানা যায়, মুন্নাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হলে তার সাথে দেখা করতে যায় ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। এসময় তার গ্রেফতারের সাথে মিল্টনের হাত আছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়