শুক্রবার, মে ১০, ২০২৪
spot_img

পুলিশের ভিজিটিং কার্ড দেখিয়ে চলছে নিষিদ্ধ অটোরিকশা

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রতি গাড়ি অগ্রীম ১ হাজার ও দিনে ৫০ টাকা দিয়ে পাওয়া যায় শহরে অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালানোর অনুমোদন। গাড়ি রেকার হবে না, পুলিশ ধরবে না, ধরলেও ফোন দেয়ার সাথে সাথেই অটোরিকশা ছেড়ে দিবে। প্রতিদিন, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক অটোরিকশার চাঁদা উঠানোর জন্য রয়েছে দালাল।

সরজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া মোড়, কলেজ রোড, কালির বাজার, ২নং রেল গেট, মিশন পাড়া, শিবু মার্কেট সহ বিভিন্ন স্থান থেকে রেকারের কর্মকতারা যে সকল ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আটক করে তার বেশিরভাগই পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাঙ্গিয়ে চলে। সাংবাদিকদের অনলাইন পোর্টালের স্টিকার লাগানো থাকায় গাড়ি বেশি দেখা যায়। কিন্তু পুলিশের ভিজিটিং কার্ড থাকার কারনে সাধারণ মানুষ বা রেকার তা দেখতে পায় না। তারজন্য রেকার গাড়ি ধরলে কার্ড বের করে দেখায় এবং তা দেখার পর সাথে সাথেই রাস্তা থেকে ছেড়ে দেয়া হয় তাদের।

বেশ কয়েকজন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ট্রাফিক পুলিশের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যদের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে চলে অটোরিকশা। এখন সাংবাদিকের কার্ড দেখলে ধরে নিয়ে গিয়ে রেকার বিল করে কোন ছাড় নাই। কিন্তু পুলিশের ভিজিটিং কার্ড দেখালেই সাথে সাথে ছেড়ে দেয়।  তারা আরো বলেন, এ শহরে পুলিশের উপরে কেউ নেই। যত সব অত্যাচার শুধু মাত্র আমাদের মতো দিনমজুর গরিব মানুষের উপর।

এটিএসআই মোস্তাফিজুর রহমানের মানতি গাড়ির দেখা শোনার দ্বায়িত্বে থাকা দালাল মামুন বলেন, নাম স্যারের কাজ আমার। আমি শুধু গাড়ি জোগাড় করে টাকা তুলে দেই। অগ্রীম ১ হাজার টাকা ও মাসে ১৫০০ টাকা তুলি। কেউ প্রতিদিন, কেউ বা সাপ্তাহিক আবার কেউ ১০ দিন অথবা মাসিক যে যেভাবেই দিতে চায় দেয়। মাস শেষে টাকা উঠিয়ে আমি নিজে গিয়ে স্যারের কাছে দিয়ে আসি। ৪ (চার) মাস ধরে আমি এই দ্বায়িত্ব পালন করতাছি। স্যারের একটাও গাড়ি কেউই ধরে না। আর যদি ধরেও তাহলে স্যারের নাম্বারে কল দিলেই সে বলে দেয় তাহলেই ছেড়ে দেয়।

এবিষয়ে এটিএসআই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জে নতুন জয়েন করেছি। প্রথমে তিনি অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা মানতির ব্যাপারে অস্বীকার করলেও পরে তিনি স্বীকার করে বলেন আমার মানতি করা গাড়ি বেশি না অল্প। এশহরে অনেকেরই নামে মানতি করা গাড়ি চলে।

এবিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন ও প্রসিকিউশন) ট্রাফিক বিভাগ নারায়ণগঞ্জ মোঃ আব্দুল করিম শেখ বলেন, তার অটোরিকশা মাসিক থাকার কোনো কারন নেই আর থাকবেও না। আমি ওনার সাথে কথা বলে দেখি।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়