শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
spot_img

ব্লাক জনির অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, সাংসদ সেলিম ওসমানের হস্তক্ষেপ কামনা

সংবাদ সিক্সটিনঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দরে গ্রামজুড়ে মাদক সম্রাট ব্লাক জনির দৌরাত্ম্য। অনেকটা প্রকাশ্যে চলছে ইয়াবা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, নদী পথে তেল চুরি ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বেচাকেনা। আছে বিশাল একটি বাহিনীও। কেউ মুখ খুললে চলে হেনস্তা, মারধর। দেওয়া হয় হত্যার হুমকি। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৩, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ। প্রশাসন সকল কিছু দেখেও যেন না দেখার অভিনয়ে মত্ত। এক ব্লাক জনি বাহিনীর কাছে ধরাশায়ী প্রশাসন, সেখানে বন্দরের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুচিয়ারবন্দ গ্রামে শীর্ষ মাদক সম্রাট ব্লাক জনি বাহিনীর অত্যাচার দিনদিন বেড়েই চলছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে যেনতেন কাজ করতেও পিছু পাঁ হটছে না এ বাহিনী। তার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। এ বাহিনীর প্রধান ব্লাক জনি এরই মধ্যে একটি ডাকাতি মামলায় কয়েকদিন আগে জামিনে বের হয়েছিল। এখনো তার বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি, জবর দখলসহ অন্তত ১৭/১৮টি মামলা রয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে একাধিক ব্যক্তির সাথে আলাপ করে জানা যায়, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুচিয়ারবন্দ গ্রামের আমানউল্লাহ আমুর ছেলে ব্লাক জনি। এখানে র্দীঘ দিন ধরে মাদক বিক্রিয় করে যাচ্ছে। তার আধিপত্য বিস্তার করে নিজ নামে একটি বাহিনী তৈরি করেছে। যার মূল ভূমিকায় ব্লাক জনি নিজেই। চুরি, ডাকাতি, মারামারি অভিযোগ এ বাহিনীর বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে ডাকাতি মামলায় জামিনে বের হয়েছিল। এরপরই শুভকরদী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে জানাজা শেষে হামলা চালায়। পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসী ধাওয়া দিলে পালিয়ে যায়। এ পর্যন্ত তিনি অনেকবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেফতার হয়েছে কিন্তু কিছুদিন পরই আবার জামিনে বের হয়ে কার্যক্রম চালায়।

ভুক্তভোগীরা বলছে, এ মাদক ব্যবসায়ী গ্রামের যুবসমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এতে অভিভাবকরা বেকায়দায় রয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মাদক সম্রাট ব্লাক জনি পোড়া তেলের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য একটি বাহিনী তৈরি করেছে। এরই মধ্যে মদনগঞ্জ সৈয়ালবাড়ি এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ক্যাপ রোমনকে দিয়ে মদনগঞ্জ, শান্তিনগর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ নিলে অপর পোড়া তেল ব্যবসায়ী অনিক বাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। অনিক বাহিনীর সঙ্গেও চরধলেশ্বরী এলাকার ডালিমের সঙ্গে তেল নিয়ে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। পরবর্তী সময়ে ক্যাপ রোমান ও অনিক বাহিনীর সঙ্গে নিজেদের অবস্থান জানান দিতে গিয়ে সংঘর্ষে খুন হন ক্যাপ রোমান। অথচ ওই সংঘর্ষেও ব্লাক জনি জড়িত ছিল। এর আগে মোহনপুর কবরস্থান থেকে দেশীয় অস্ত্র মাদকসহ গ্রেফতার হয় পুলিশের হাতে। এরকম গ্রেফতার করলেও কয়েকদিন পর জামিনে বের হয়ে আসে। এর আগে ব্লাক জনির নেতৃত্বে শুভকরদী গ্রামে কয়েকটি বাড়ীঘর ভাঙচুর চালায়।

অন্যদিকে মোহনপুর, চরধলেশ্বরী, কলাগাছিয়া, নিশং, মুচিয়ারবন্দ, আলী সাহারদী চাঁনপুর ও আলীনগর এলাকার স্থানীয় যুবকদের নিয়ে বিশাল একটি বাহিনী তৈরি করেছে যার নেতৃত্ব দিচ্ছে ব্লাক জনি নিজেই। তাদের বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা। ব্লাক জনি বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে র‌্যাবের হস্তক্ষেপ কামনাসহ ক্রসফায়ারের দাবি জানান এলাকাবাসী।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়