শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
spot_img

সোনারগাঁয়ে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্মুক্ত পরীক্ষা

সংবাদ১৬.কমঃ যে কোন বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষ যেন স্বস্ব পেশা ঠিক রেখে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারেন, সে জন্যে নাম রাখা হয়েছিল বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)। যা সকলের জন্যে শিক্ষা গ্রহণ ছিল উন্মুক্ত, কিন্তু নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও সরকারি কলেজে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত বাউবি’র ইংরেজি পরীক্ষায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল অর্থই যেন পাল্টে দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু’র স্ত্রী ও গ্রাহস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান দিল আফরোজ এবং আইসিটি বিভাগের প্রভাষক সোহেল ওই দিনের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ৭০ জন পরীক্ষার্থীকে আলাদাভাবে বিশেষ সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে পরীক্ষা নেন। যা দেখে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষকদের এমন বৈষম্যহীন আচরণ শিক্ষা ব্যবস্থায় এক অশনি সংকেত বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী জানায়, চলতি বছর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচ,এস,সি পরীক্ষায় সোনারগাঁও সরকারি কলেজ শাখায় প্রায় ১৬০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তাদের পরীক্ষার জন্যে কলেজের ১১,১২ এবং ১৩ নাম্বার কক্ষ বরাদ্ধ থাকে। ১৬০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৭০ জন পরীক্ষার্থী এই কলেজের একাধিক শিক্ষকের কাছে কোচিং করেছে। আর যারা কোচিং করতে পারেনি তারা প্রতিমাসের নির্দিষ্ট সময়ে বেতনের সমপরিমান টাকা কোচিং না করেও ওই শিক্ষকদের পরিশোধ করতো। তাই যে সকল পরীক্ষার্থী  কোচিং করতো এবং কোচিং না করেও সমপরিমান টাকা দিয়েছে কেবল তাদেরই ঠাঁই হয়েছে ১৩ নম্বর কক্ষে বসে বই দেখে পরীক্ষা দেওয়ার। শিক্ষার্থীদের দাবী, পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন নেওয়া নিষেধ না হলে তারা বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ করে দেখাতেও দ্বিধা করতো না।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁও সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুজ্জামান অপু এবং অভিযুক্ত প্রভাষক দিল আফরোজ’র মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে দু’জনই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ান উল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে যেহেতু এখন শোনলাম, তদন্ত করে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়