বুধবার, মে ১৫, ২০২৪
spot_img

ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এসপিকে নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টারঃ অবৈধভাবে মোবাইল কোর্ট ও থানা পুলিশের ভয়ভীতি দেখিয়ে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের চাঁদাবাজদের দ্বারা হয়রানীর শিকার বন্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে এক ভুক্তভোগী। অভিযোগটি পেয়েই নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারকে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযোগে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ক্লিনিক, বেকারী ও শিল্প কারখানায় জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের নারায়ণগঞ্জ শাখার সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি প্রতারক চক্রের টীম তৈরি করে মোবাইল কোর্টের নামে অবৈধ ভাবে অভিযান চালাচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখার নাম করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। সেই সাথে প্রতারক চক্রটি তাদের গায়ে প্রশাসনের মতো কটি ব্যবহার করে থানা পুলিশের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের প্রতারক চক্ররা। কয়েক জন নারী ও পুরুষ সংঘবদ্ধ হয়ে অভিযানের পাশাপাশি ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং চাঁদা দাবী করছে।

আরও জানা যায়, বন্দরের ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রহমান বেকারী, মেসার্স আজমেরী ফুডস মুড়ির মিলস, সোনারগাঁয়ের মেসার্স সোনারগাঁ ফুড প্রোডাক্টস (মুড়ি ও চিড়ার মিল), হাজীগঞ্জ গুদারাঘাট সংলগ্ন মুড়ির কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অবৈধ ভাবে মোবাইল কোর্টের ভুয়া অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজি করে। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে অশালীন আচরণ করে এবং ডিসি ও স্থানীয় থানা পুলিশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল জরিমানা সহ পুলিশ দিয়ে হয়রানী করবে বলে হুমকী প্রদান করে।

সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জ সভাপতি ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদ সহ তার কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়। সুলতান মাহমুদ ও তার সহযোগীরা ধারণকৃত ভিডিওতে সময়ের চিন্তা টিভির লোগ ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। তাদের জেলা কমিটির ইনভেষ্টিগেশন টীমের কাজে কোন ধরনের বাধা প্রদান করলে ডিসি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জনসাধারণকে ভয় দেখায় সুলতান মাহমুদ গং। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীরা সুলতান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের সাথে ফেসবুকে অপপ্রচার ও হুমকীর স্ক্রিনশর্ট সহ ভিডিও ক্লিপ ডকুমেন্টারী হিসাবে সংযুক্ত দেওয়া হয়।

উক্ত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুলতান মাহমুদ ও তার সহযোগীদের ডিসির নির্দেশনায় এনডিসি নোটিশ প্রদান করলে গত ৫জুন সুলতান মাহমুদ স্বশরীরে হাজির হয় এবং সময়ের চিন্তাসহ ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারলে এনডিসি কোর্ট পুলিশকে খবর দেওয়ার সাথে সাথে সুলতান মাহমুদ নিজের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রার্থনা করলে এনডিসি ৭জুন নোটিশের মাধ্যমে আবার ডাকলে এনডিসিকে অবজ্ঞা করে প্রতারক ভেজাইল্যা সুলতান ও তার সহযোগীরা হাজির হয়নি।

বর্তমানে সুলতানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। অভিযোগ গুলোর তদন্ত চলছে এবং বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসপিকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিসি।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়