মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪
spot_img

কন্যা শিশুর সামনে বাবাকে হত্যার চেষ্টা

সংবাদ১৬.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আতাউর রহমান (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে তার চার বছরের কন্যা শিশুর সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বুধবার (১০ই এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর এলাকায় তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত আতাউর রহমান ও তার শিশু মেয়ের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী সাইফুল (২৫) সহ তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা আহত আতাউরকে উদ্ধার করে প্রথামিক চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করে।

এ ঘটনায় আতাউর রহমানের মা আয়েশা বেগম বাদী হয়ে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ঝাউচর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) সহ অজ্ঞাত ৪/৫জনকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার গঙ্গানগর এলাকার কমল হকের ছেলে আতাউর রহমান গত বুধবার তার মেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে আসার সময় তিতাস গ্যাস অফিসের সামনে আসলে  ঝাউচর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) সহ অজ্ঞাত  ৪/৫ জন পুর্বশত্রুতার জেরে তার শিশু মেয়ের সামনে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। আহত অবস্থায় সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহত আতাউরের বাম হাতের কুনুই ভেঙ্গে যায় এবং ডান হাত ও বাম হাতের কবজি থেতলে যায়। নাম না প্রকাশ করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, সন্ত্রাসী সাইফুল সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী শামসুজ্জামান সামসুর সেকেন্ড হ্যান্ড কমান্ড হিসেবে কাজ করছে। সে সামসুজ্জামান সামসু’র ক্ষমতায় কিশোর গ্যাং তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাচ্ছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রার্থী শামসুজ্জামান সামসু বলেন, বিষয়টি নিজেদের আত্নীয়-স্বজনদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারনে ঘটেছে। দু’পক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আমরা একটা মিমাংসার চেষ্টা করছি।

আহত আতাউরের মা আয়েশা গণমাধ্যমকে বলেন,  আমার ছেলেকে বিনা অপরাধে আমার অবুজ নাতনীর সামনে রাস্তায় ফেলে এমন নৃশংসভাবে   দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের বাবা সিরাজুল ইসলাম জানান, কারো প্ররোচনায় আমার ছেলে এ ধরনের কাজটি করেছে ভিকটিম আমার ভাগিনা। আমি খবর শুনেই আতাউরকে দেখতে হাসপাতালে  যাই এবং আমার ছেলের বিচার আমি নিজ হাতে করবো বলে তাকে কথা দিয়ে এসেছি।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম সুমন জানান, একটি লিখিত  অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়