শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
spot_img

টেনশন ও ডেভিল এক্সো গ্রুপের ১৭ সদস্যকে আটক করলো র‍্যাব-১১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে “টেনশন গ্রুপ” নামে দুটি কিশোর গ্যাং  এবং “ডেভিল এক্সো গ্রুপ”র ১৭ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১১ এর একটি দল।

২৫ মার্চ সোমবার  দুপুরে র‌্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১ এর উপ-অধিনায়ক  মেজর সানরিয়া চৌধুরী। এর আগে রোববার (২৪ মার্চ) দিনগত রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মাদ্রাসা রোড কবরস্থান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে রামদা, ছুরি, গুলতিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় র‍্যাব।

আটকরা হলেন- টেনশন গ্রুপের লিডার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে রাইসুল ইসলাম সীমান্ত (২২), সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকার মোঃ তাজুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (২৬), সানারপাড় এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ হুমায়ুন হোসেন (২৪), মিজমিজি নাদা পাড়া এলাকার আমিন উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২৬), বন্দরের লাঙ্গলবন্দ এলাকার খোকন শেখের ছেলে মোঃ রাব্বি (২৫), সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে প্রিতম রোবায়েতি ইসফাক (২৯), ডেবিল এক্সো গ্রুপের লিডার সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার শফিকুল ইসলাম শফিকের ছেলে মোঃ সারিব (১৯), একই এলাকার হারুনের ছেলে আশিক (১৯), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নাঈম (১৯), আজাদ শিকদারের ছেলে তুহিন হোসেন (১৮), খন্দকার মোহাম্মদ নুরুল্লাহর ছেলে রোসমান (১৯), বাক্কির ছেলে মোঃ শাহাদৎ (১৯), তাজুল ইসলামের ছেলে সৌরভ (২০), নুর নবীর ছেলে মাহিন (২০), ইমান আলীর ছেলে  তুষার (২০), নবীর হোসেনের ছেলে সৌরভ (১৯) ও আনোয়ার হোসেনের ছেলে আরিফ হোসেন (১৯)।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, গত বছরের ৩১ আগস্ট এবং ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে নাসিক এলাকায় পরিচিত গ্যাং টেনশন গ্রুপের নেতা সীমান্ত ও তার বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এছাড়াও তাদের সক্রিয় এলাকায় উঠতি বয়সী ছাত্রদের টার্গেট করে মাদকদ্রব্য সেবনে প্ররোচিত করে তাদের গ্রুপে যোগদান করিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

গ্রেফতারকৃত “টেনশন গ্রুল্প” এবং “ডেভিল এক্সো” গ্রুপের আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, রাইসুল ইসলাম সীমান্ত “টেনশন গ্রুপ”র দলনেতা এবং মোঃ সারিব “ডেভিল এক্সো” গ্রুপের দলনেতা। গ্রেফতারকৃত আসামিরা রাস্তায় চলাচলরত জনগণের মালামাল ছিনতাই, বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, মালবাহী ও যাত্রীবাহী পরিবহনে নিয়মিতভাবে ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে থাকে।

আসামিরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে শক্তির মহড়া বা দাপট প্রদর্শন করে জনমনে ভয়ভীতি বা ত্রাস সৃষ্টি করে। এলাকাবাসী তাদের হিংস্রতা, অত্যাচার ও নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়