বুধবার, মে ৮, ২০২৪
spot_img

কক্সবাজারে হোটেল মোটেলে অভিযান, চক্রের ৭ নারীসহ আটক ১৮

মনসুর আলম মুন্না, কক্সবাজারঃ পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ ভ্রমণে আসেন। ছুটি পেলেই কক্সবাজারে বছরের শেষের দিকে পর্যটকে ভরে উঠে। কিন্তু আনন্দের সময় কাটাতে এসে প্রায় সময় পর্যটকের উপর নেমে আসে নানা বিপত্তি। ফলে কেউ কেউ হয়ে পড়ে সর্বহারা। পর্যটকের এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে কক্সবাজারের টুরিস্ট পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারী) গভীররাতে কক্সবাজার শহরের হোটেল মোটেল কটেজ জোনে অভিযান পরিচালনা করে টুরিস্ট পুলিশ। এসময় অপরাধী চক্রের ১১ জন পুরুষ ও ৭ জন নারীকে আটক করে। যাদের বিরুদ্ধে পর্যটকদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব লুটে নেয়াসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ পাওয়া যায়। মঙ্গলবার দুপুরে টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।

এই কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন পর্যটক হয়রানির তথ্য অনুসন্ধান করে তারা জানতে পারে দালাল চক্র বিভিন্ন কৌশলে পর্যটকদের কটেজ জোনের রুমে নিয়ে যায়। পরে অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত নারীদের দিয়ে ভিডিও করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে সর্বস্ব করে ফেলে। এতে অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হয় কটেজ জোন। যেখানে মাদকের ছড়াছড়ি রয়েছে বেশ। আটক কালে এমন অপরাধের কথা স্বীকার করে অপরাধী চক্রের সদস্যরা।

কটেজ জোনের ৬টি হোটেল চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে এসব অপরাধে সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। ইতোমধ্যে চিহ্নিত হোটেলের মালিক এবং ম্যানজারদের বিরুদ্ধে তারা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলেও জানান।

টুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় দালাল চক্রের ৪০-৫০ জন সদস্য রয়েছে। যেখানে নারী রয়েছে ১২-১৩ জন। মূলত তারা দেশের নানা প্রান্ত থেকে নারীদের ফুসলিয়ে কক্সবাজারে নিয়ে এসে এমন অসামাজিক কার্যকলাপে বাধ্য করে।

তাদেরও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন। যে সমস্ত কটেজ নাম ঠিকানা বিহীন, রেজিষ্ট্রেশন নেই এবং কোনো সাইনবোর্ড নেই সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। মাদক, ছিনতাই, অপরাধের বিরুদ্ধে টুরিস্ট পুলিশ সবসময় শক্ত অবস্থানে থাকবে বলেও জানানো হয়।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়