রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
spot_img

জাতীয় সংসদে বিরোধীদল কোনটি হবে স্পষ্ট নয়

সংবাদ ডেস্কঃ গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সারাদেশে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ভোট হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদেশি পর্যবেক্ষক দল। নির্বাচন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ওআইসি, রাশিয়া, ফিলিস্তিন, কানাডা, গাম্বিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা।

তবে জাতীয় সংসদে বিরোধীদল কোনটি হবে, তা স্পষ্ট নয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের বাইরে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় বিরোধীদল কারা হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, সংসদ সদস্যদের শপথের বিষয়টি জাতীয় সংসদ সচিবালয় এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ ও মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টনের কাজে দাপ্তরিক সহায়তা দিয়ে থাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নির্বাচনের পরের দিন প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট শাখা এসব নিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে।

যেহেতু নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে মন্ত্রিসভা আছে, সেক্ষেত্রে বর্তমান সংসদের মেয়াদ ও মন্ত্রীদের পদে থাকার বিষয়টি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। মন্ত্রীদের পদের মেয়াদের বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধানে (৫৮/৪) বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা স্বীয় পদে বহাল না থাকলে মন্ত্রীদের প্রত্যেকে পদত্যাগ করেছেন বলে গণ্য হবে, তবে এ পরিচ্ছেদের বিধানাবলী-সাপেক্ষে তাদের উত্তরাধিকারীরা কার্যভার না নেওয়া পর্যন্ত তারা স্ব স্ব পদে বহাল থাকবেন। আর প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদের বিষয়ে সংবিধানে (৫৭/৩) বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার না নেওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকতে এ অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই অযোগ্য করবে না।

নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্যসহ বর্তমানে প্রায় সাড়ে চারশর মতো সংসদ সদস্য রয়েছেন। আগের সংসদের মেয়াদ চলতি জানুয়ারি পর্যন্ত। আর মন্ত্রীদের মেয়াদ নতুন মন্ত্রিসভা গঠন না হওয়া পর্যন্ত। ফলে মেয়াদ নিয়ে জটিলতা নেই। বিষয়টি সংবিধানে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

রীতি অনুযায়ী, নব-নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে তা পাঠাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। তবে ভোটের কত দিনের মধ্যে গেজেট হবে, সে বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত, রাশিয়া, চীন, ভুটান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কা অভিনন্দন জানিয়েছে। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানান।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়