জবি প্রতিনিধিঃ গতকাল ২৮ অক্টোবর শনিবার বিএনপি জামাতের ১দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ করে। নয়া পল্টনে অনুষ্ঠিত বিএনপির এক দফা এক দাবি আন্দোলনের ধারাবাহিক কার্যক্রম হিসেবে ২৯ অক্টোবর সকাল সন্ধ্যা সারা দেশে হরতালের ডাক দেয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিএনপি জামাতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। দলের পাশাপাশি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। যেকোনো ধরনের অগ্নি সন্ত্রাসের রুখে দিতে সদা প্রস্তুত তারা।
ভোর থেকেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সরকারবিরোধী, অগ্নি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমূলক কার্যক্রমের প্রতিবাদ হিসেবে ছাত্রলীগের অবস্থান ও প্রতিবাদ র্যালি লক্ষ্য করা যায়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১১ব্যাচের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের কর্মী মিনুন মাহফুজ সংবাদ১৬ কে বলেন, অগ্নি সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন ভাইয়ের নেতৃত্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সবসময় প্রস্তুত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের সন্ত্রাসী মূলক কর্মকাণ্ডের কোন প্রকার সুযোগ দিবে না ছাত্রলীগ। সাধারণ শিক্ষার্থী ও প্রিয় ক্যাম্পাসকে পাহাড়া দিতে ছাত্রলীগ সব সময় ঐক্যবদ্ধ।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশ্নে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আপোষহীন। আমরা গতকাল দেখেছি বিএনপি সমাবেশের নামে কিভাবে নির্বিচারে পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে,পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। বিএনপির নেতা কর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়ে, বাসে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে জনজীবন বিধ্বস্ত করেছে।
বিএনপি বরাবরই ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রই বিএনপির মূল চালিকাশক্তি। পলাতক, দন্ডপ্রাপ্ত আসামি তারেক জিয়ার নেতৃত্বাধীন দল বিএনপির অবৈধ হরতাল বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য প্রতিহত করতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ রাজপথে বরাবরই সোচ্চার ছিল। বিএনপি, ছাত্রদল, জামায়াত-শিবিরকে প্রতিহত করতে দাঁতভাঙা জবাব দিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সবসময় প্রস্তুত আছে।
