বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
spot_img

লঘুচাপ, সেন্টমার্টিনে আটকা জবির ৩৮ শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষক

জবি প্রতিনিধিঃ প্রচণ্ড লঘুচাপ এবং সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষকসহ ৩৮ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছাত্রীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে বুধবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ তিন শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে  আটকা পড়েছেন। শিক্ষা সফরে যাওয়া শিক্ষার্থীদের বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে ফিরে আসার কথা থাকলেও আবহাওয়ার তিন নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় তারা আসতে পারেননি। দ্বীপে দুদিনের বদলে তৃতীয় দিন অবস্থান করলেও আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়নি। অবস্থার উন্নীত না হলে শুক্রবারও  জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার আশঙ্কা করছেন তারা। ইতিমধ্যে সেখানে আমিষ জাতীয় খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও ঠিকমতো কাজ করছে না অনেকের। কয়েকজন শিক্ষার্থী ভ্রমণ বাবদ অর্থ শেষ হয়ে যাওয়ায় পরিবার ও স্বজনদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে আটকা পরা শিক্ষার্থী রকিব জানান, জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার কারণে আমরা ফিরতে পারছি না। আমরা বর্তমানে হানিমুন ইকো রিসোর্টে নিরাপদে অবস্থান করছি। আবহাওয়া মোটামুটি স্থিতিশীল। সকাল থেকে বৃষ্টিও হয়নি। বিকেলে আমরা ছেড়া দ্বীপ থেকে ঘুরে এসেছি। এখানে মাছ-মাংসের সংকট থাকলেও চাল-ডাল, শুকনো খাবার ও সুপেয় পানির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।

জাহাজ চলাচল বন্ধর জন্য ফিরতে না পারার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুর গাইড এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী বিকেল পৌনে পাঁচটায় একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে জানান, এখানকার আবহাওয়া এখন ভালো। কিন্তু, শিপ এজেন্সীগুলো জাহাজ বন্ধ রাখায় আমাদের দেরী হচ্ছে। চালু হলেই আমরা ফিরতে পারব।

এদিকে উদ্ভিদ বিজ্ঞান চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার আহম্মদ বলেন, আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন। তবে ভয়ের কারণ নেই সবাই নিরাপদে রয়েছেন। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল চালু হলেই তারা ফিরে আসবেন। তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়