উবায়েদুল হক শুভঃ নৈস্বর্গিক মায়ায় জড়ানো, অদেখা আর কল্পনার মাধুরীতে আকাঁ ছবির মতো রুপসী বাংলার রুপসী-সে।
মগরার তীরে গড়ে উঠা “উচিতপুর” সবুজবীথি আর অথৈপানির জন্য বিখ্যাত। এখানে আকাশের নীলাভাও যেনো জমিনে নেমে আসে-সবুজের মায়ায়।
এবিশাল পানিতে নীলের ছড়াছড়ি দেখতে হাজারো ভ্রমনপিপাসু প্রতিবছর ছুটে আসে। আষাঢ়ের ঢেউ এখানে যেনো উল্টো চলে। এমন জলরাশির উদ্দেশ্যেই মগরার তীরে আসা।
নৌকা যখন লাল নিশানা উড়িয়ে- নীল জলরাশির মাঝে। দূর হতে চোখের মণিকোঠায় ভেসে উঠলো এক অচেনা মুখ। বেশ চঞ্চল- মায়ামাখা মুখখানি তার যেনো কখনো স্বপ্নে দেখা।
লাল শাপলার মাঝে এমন রূপসীর দেখা মিলে! লাল, নীলের এবিশাল সমারোহে আর অপেক্ষা করার জোঁ নেই। এদেখা দুজনের- প্রথম দেখা-যেনো হাজার বছরের চেনা দুজন দুজনের।
ডিঙিতে উঠার স্বাধ থাকলেও-এতো ছোট্টতে উঠার সুযোগ নেই। দূর থেকে কথা হলো, চোখের কাজল মায়ায়। এমন মায়া যা কখনো এভাবে আপন করেনি।
দেখা হলো, জানা হলো-এ মগরাকূল তার নিবাস। ছেলে-মানুষি, দুষ্টামি আর মগরাকে নিয়েই যত আহ্লাদি তার। মায়ামাখা ললাটখানিও মগরার আদরে গড়া। এ নীল জলরাশিরও বেশ আপন সে।
নদীর তটে রাখা ডিঙি নিয়েই সারাবেলা একূল হতে ওকূল তার বিচরণ-শালুক আর শাপলার সাথে অবিরাম বন্ধন। বিকেল হলে চড়ুইয়ের সাথে খুনশুটিও হয় তার। এবিলাস ভুমি;মেঘনার গা-ঘেষা তারই নাকি সৌন্দর্যের মায়ায় আবদ্ধ। যে মায়া ভুলে যাবার নয়, দূরে রাখারও নয়।
মগরা যেমন তার নীল জলরাশির দিয়ে আপন করে রাখে তার পর্যটককে। সেও আপন করে নিল যেনো ওভাবে। এমন মগরাকন্যা সাথে থাকলে জলরাশি স্বর্গ হতে কতক্ষণ! যেতেই পারি বারবার সেই প্রিয়ো স্বর্গ দেখতে।