শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
spot_img

“প্রথম আলো” দেশের শত্রু জনগণের শত্রু গণতন্ত্রের শত্রু: শেখ হাসিনা

সংবাদ ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, দেশের মানুষের শত্রু। এরা এই দেশকে কখনই স্থিতিশীল থাকতে দিতে চায় না। জাতীয় সংসদের ২২তম বিশেষ অধিবেশনে সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বিশেষ অধিবেশনে আনা প্রস্তাবের ওপর আলোচনায ও সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। গত ৭ এপ্রিল ১৪৭ বিধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ প্রস্তাবটি উপস্থাপন করেন। পরে এ প্রস্তাবের উপর ৪ দিন সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছোট্ট একটা শিশুর হাতে ১০টা টাকা দিয়ে তাকে দিয়ে একটা মিথ্যা বলানো, শিশুর মুখ থেকে কিছু কথা বলানো। কি কথা-ভাত, মাছ, মাংসের স্বাধীনতা চাই। একটা সাত বছরের শিশু তার হাতে ১০ টাকা তুলে দেওয়া এবং তার কথা রেকর্ড করে সেটা প্রচার করা। স্বনামধন্য এক পত্রিকা, খুবই পপুলার নাম তার প্রথম আলো, কিন্তু বাস করে অন্ধকারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এটা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলি যে, এরা এই দেশে কখনই স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না। ২০০৭ সালের যখন ইমার্জেন্সি (জরুরি অবস্থা) হয় তখন তারা উৎফুল্ল। দু’টি পত্রিকা আদাজল খেয়ে নেমে গেল, বাহবা কুড়ালো। আর তার সঙ্গে আছে একজন সুদখোর, বড় প্রিয় আমেরিকার। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞাসা করে না একটা ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক এটি তো একটা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। সরকারের বেতন তুলতো যে এমডি, সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোথায় পেল যে, আমেরিকার মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করে। দেশে-বিদেশে এই অর্থ কোথা থেকে আসে এটা কি জিজ্ঞাসা করেছে? কখনও তারা জিজ্ঞাসা করেনি।

এদের কাছ থেকে দুর্নীতির কথা শুনতে হয়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ, এদের কাছ থেকে মানবতার কথাও শুনতে হয়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, যারা গরিবের রক্তচোষা টাকা পাচার করে বিদেশে বিনিয়োগ করে নিজেরা শত কোটি টাকার মালিক হয়, আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যায়। এই সব লোকই এদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে। তারাই মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়