শনিবার, এপ্রিল ২৭, ২০২৪
spot_img

২০ বছর পর জেলা যুবলীগের সন্মেলন

সংবাদ ডেস্কঃ খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দীর্ঘ ২০ বছর পর নগরের শিববাড়ী মোড়ে ভেঙে ফেলা পাবলিক হল (সাবেক জিয়া হল) চত্বরে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সম্মেলন শুরু হতে একটু দেরি হয়।

সম্মেলন ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে সম্মেলন স্থলে আসতে দেখা গেছে নেতা-কর্মীদের। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব আসবে বলে মনে করছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। সম্মেলন উপলক্ষে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে ভরে গেছে পুরো খুলনা নগর।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস (পরশ)। প্রধান অতিথি হিসেবে বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন। প্রধান বক্তা যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান (নিখিল)।

যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, একই মঞ্চে জেলা ও মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হচ্ছে। পুরো সম্মেলন হবে দুটি ভাগে। প্রথম ভাগ অনুষ্ঠিত হবে শিববাড়ী মোড়ে। এটা দুপুর পর্যন্ত চলবে। এরপর বেলা তিনটার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে ইউনাইটেড ক্লাবে। সম্মেলনকে ঘিরে জেলায় সভাপতি হতে ৬ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। আর মহানগরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন একজন করে।
যুবলীগের ওই সম্মেলনে জেলা থেকে ৩০০ কাউন্সিলর ও ৬০০ ডেলিগেটস এবং মহানগরের প্রায় ২ হাজার ডেলিগেটস ও ৩৬০ জন কাউন্সিলর থাকার কথা রয়েছে। এর বাইরে প্রায় এক লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।

এর আগে ২০০৩ সালের ৬ মে খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে মহানগরের সভাপতি করা হয় আনিসুর রহমানকে এবং সাধারণ সম্পাদক হন আলী আকবর। অন্যদিকে জেলা যুবলীগের সভাপতি হন মো. কামরুজ্জামান জামাল আর সাধারণ সম্পাদক হন মো. আক্তারুজ্জামান।
কামরুজ্জামান বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে আছেন। আর আক্তারুজ্জামান আছেন সদস্য হিসেবে। তিনি এখন খুলনা-৬ আসনের (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য। জেলা আওয়ামী লীগের আগের কমিটিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সম্মেলনের পর ২০০৮ সালে ও ২০১৯ সালে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলেও দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জেলা যুবলীগের কোনো কমিটি গঠিত হয়নি।

মহানগর সভাপতি হতে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বর্তমান আহ্বায়ক সফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য আবেদন করেছেন বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহজালাল হোসেন। ফলে সম্মেলনে নগরের নেতৃত্ব অনেকটা নিশ্চিত।
অন্যদিকে জেলায় সভাপতি পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বর্তমান জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অজিত বিশ্বাস ও সরদার জাকির হোসেন, খুলনা জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আরাফাত হোসেন ও জসিম উদ্দিন এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাদীউজ্জামান।

এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন বর্তমান জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম কামরুজ্জামান ও মো. হারুনার রশিদ, জেলা যুবলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দেব দুলাল বাড়ই, আবদুল্লাহ আল মামুন, জলিল তালুকদার, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি মো. পারভেজ হাওলাদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মোল্লা কামরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক তসলিম হুসাইন ও মো. আবু সাইদ।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়