আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সোমবার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদপত্র রসসিস্কায়া গেজেটাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন পাত্রুশেভ। রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রভাবশালী সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভের মন্তব্যে বিশ্বের দুই বৃহৎ পারমাণবিক শক্তিধর দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের শোডাউনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। যদিও মস্কো বরাবরের মতো পারমাণবিক সংঘাত এড়াতে চায় বলে দাবি করে আসছে।
অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের যেকোনও শত্রুকে ধ্বংস করে দেওয়ার মতো যথেষ্ট অস্ত্র মস্কোর হাতে আছে বলে হুঁশিয়ার করে দেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভ। মস্কোর পারমাণবিক শক্তিকে ওয়াশিংটন অবমূল্যায়ন করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেছেন, আমেরিকান রাজনীতিবিদরা তাদের নিজস্ব প্রচারে আটকে পড়ে আত্মবিশ্বাসী রয়েছেন যে, রাশিয়ার সাথে সরাসরি সংঘর্ষের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে সক্ষম। এই হামলার পরে রাশিয়া আর প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবে না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন চিন্তাধারা অদূরদর্শী বোকামির শামিল এবং অত্যন্ত বিপজ্জনক।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ এই মিত্র বলেছেন, রাশিয়া ধৈর্যশীল এবং তার সামরিক সুবিধা নিয়ে কাউকে ভয় দেখায় না। তবে রাশিয়ার কাছে আধুনিক অনন্য অস্ত্র রয়েছে, যা তার অস্তিত্বের জন্য হুমকি দেখা দিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ যেকোনো শত্রুকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সৈন্যরা। এরপর থেকে পশ্চিমের বিরুদ্ধে মস্কোকে পারমাণবিক হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হলে কিংবা চরম পরিস্থিতিতে পড়লে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য মস্কো প্রস্তুত রয়েছে বলেও হুঁশিয়ার করে আসছে ক্রেমলিন।
রাশিয়া বলেছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে কয়েক হাজার সৈন্য পাঠানোর একটি কারণ রয়েছে। আর এই কারণ হলো মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সাথে কিয়েভের সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত নিরাপত্তা হুমকিকে মোকাবিলা করা। সূত্র: রয়টার্স