মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪
spot_img

রাজনীতি, জনস্বাস্থ্য ও মুক্তিযুদ্ধসহ নানা ক্ষেত্রে স্মৃতি জাফরুল্লাহ

সংবাদ ডেস্কঃ বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের একজন শীর্ষস্থানীয়  নেতার নাম জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি একজন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সেই সঙ্গে গরীবের ডাক্তার বলেও পরিচিত ছিলেন এই মানুষটি।

গতকাল রাত সোয়া ১১টায় ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন জাফরুল্লাহ।

বাংলাদেশের রাজনীতি, জনস্বাস্থ্য, মুক্তিযুদ্ধসহ নানা ক্ষেত্রে স্মৃতি হয়ে থাকবে জাফরুল্লাহর নাম। গত ক’বছর ধরে তিনি পরোক্ষ রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও সম্প্রতি কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।

বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে চালু হওয়া “জাতীয় ঔষধ নীতি” প্রণয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এই ঔষধ নীতি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বা বিএমএ থেকে।

তার ওষুধ নীতি বাংলাদেশের ওষুধ খাতে বিরাট পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং এ জন্যই আজকের বাংলাদেশে ওষুধ খাতের এতো উদ্যোক্তা বলে মনে করেন অনেকে।

১৯৪১  সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন পরিবারে দশ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী থাকার সময়ে কলেজের দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়ে আলোচনায় এসে পরে কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

ডাক্তারি পাশের পর যুক্তরাজ্যে যান জাফরুল্লাহ। সেখানে সার্জন হিসেবে সুনাম অর্জন করেন তিনি। এরপর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে ব্রিটেনে বসবাসরত এক হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি চিকিৎসক নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

একাত্তর সালের মে মাসে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও যুক্তরাজ্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করার জন্য ভারতে পাঠায়। ডা. জাফরুল্লাহ তার এফআরসিপিএস ডিগ্রি অর্জন অসমাপ্ত রেখে যুক্ত হন মুক্তিযুদ্ধে।

মুজিব নগর সরকারের সহায়তায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের মেঘালয়ে ৪৮০ শয্যা বিশিষ্ট বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন জাফরুল্লাহ ও ডা. এমএ মবিন । স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল ঢাকার ইস্কাটনে পুনরায় স্থাপিত হয়।

পরবর্তীতে ১৯৭২ সালের এপ্রিলে গ্রামকে উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য হাসপাতালটি সাভারে স্থানান্তরিত হয় এবং নামকরণ করা হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়