Monday, May 12, 2025
Google search engine

১৬ বছর যাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি তাদের নেতা মেনে অমানুষিকতা দেখাবেননা: সারজিস

সংবাদ সিক্সটিনঃ পনেরো ষোলো বছরে যখন আপনাদের কঠিন সময় ছিলো কোনো নেতাকে পেয়েছেন আর কোনো নেতা বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে থেকে কিংবা দেশের বাহিরে থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সুবিধা আদায় করেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে এমন অনেক নেতাকর্মী ছিলো যাদেরকে বিগত ১৬ বছরে খুঁজে পাননি। তারা এখন নতুন করে বিভিন্ন রূপে এই বাংলাদেশে এসেছে। তারা এখন আপনাদের মাথায় হাত ভুলাচ্ছে। যাদেরকে আপনাদের কঠিন সময়ে পাশে পাননি। অনুরোধ করি এখন সুবিধাজনক সময়ে তাদেরকে নেতা হিসেবে মেনে নেয়ার মতো এই অমানুষিকতা দেখাবেন না। যদি দেখান তাহলে হাসিনা যেভাবে নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়েছে, আপনাদের অবস্থাও একই হবে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত “আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ” শীর্ষক ক্যাম্পেইন তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির “মুখ্য সংগঠক” সারজিস আলম বলেছেন, আপনাদের আমাদের একটি লড়াইয়ের আন্দোলনে খুনি হাসিনা ভয়ে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। তার থেকে আমাদের অসংখ্য শিক্ষা নেয়ার আছে। নিজেকে বাঁচানোর জন্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। নিজে পালানোর আগে পরিবারকে সেফট এক্সিট দিয়েছে। কিন্তু সে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীকে মাঠ পর্যায়ে ব্যবহার করেছে, তাদেরকে শুধুমাত্র টিস্যুর মতো ব্যবহার করেছে, বিপদের সময় রাস্তাঘাটে ফেলে পালিয়ে গেছে।

সারজিস বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দল এই ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আসছে। অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক আমাদের রাজপথের সহযোদ্ধা নাহিদ ইসলাম যিনি এই অভ্যুত্থানের ঘোষক, তাকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি যেনো পুরো বাংলাদেশকে আবার আমরা সামনের সারিতে থেকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। সেজন্য আমাদের নাহিদ ইসলাম যেনো ওই ক্ষমতার মন্ত্রনালয় ছেড়ে আবারও জনতার কাঁতারে এসে দাড়ান। আমরা বিশ্বাস করি যাদের কাছে ক্ষমতার চেয়ে জনতা আগে ছিল তারা জনতার ডাকে যেকোনো মূহুর্তে যেকোনো ক্ষমতার পথ ছেড়ে আবার জনতার কাঁতারে আসতে পারে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সকলকে একসাথে রেখে বাংলাদেশে আবার নতুন একটি দল করতে চাচ্ছি। আমাদের অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। বিগত ১৬ বছর যে চর্চাগুলো ছিল আমরা এখন আবার সে চর্চাগুলো নতুন করে দেখতে পারছি। স্পষ্ট কথা, যারা এইসব চর্চাগুলো করে এসেছে তাদের রক্তে ঐ চর্চা একদম মিশে গিয়েছে। সেই চর্চা থেকে বের হয়ে আসতে তাদেরকেই নেতৃত্ব দিতে হবে যারা এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া মানে কেন্দ্রীয় কয়েকজন না, এই সোনারগাঁসহ সারাদেশের মানুষ। সারা বাংলাদেশে অভ্যুত্থানে যারা সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদেরকেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামনে থাকতে হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য তুহিন মাহমুদের সভাপতিত্বে ও শাকিল সাইফুল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সোনারগাঁয়ের শহিদ মেহেদীর বাবা ছানাউল্লাহ, শহিদ ইমরানের মা কোহিনূর আক্তার ও আন্দোলনে নির্যাতিত ছাত্র শাকিল আহমেদ।

সম্পর্কিত প্রবন্ধ
- Advertisment -
Google search engine

সবচেয়ে বেশি পঠিত