সংবাদ ডেস্কঃ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনে দুর্ঘটনার কবলে পড়া সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে ৫৮৪ জন যাত্রী ছিলেন। এ ট্রেনে মোট ১৪টি বগি ছিল। রবিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে রওনা হয়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী বলেন, আন্তঃনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রবিবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়ে। রাত ১২টা ১০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছানোর কথা ছিল। ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যেতে পাঁচ ঘণ্টা ৪০ মিনিট সময় লাগে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ছাড়ার পর কেবল ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে থামে।
তিনি আরও বলেন, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের পর ৫টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় মেঘনা এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার কারণে সেটি ফেনীতে আটকা পড়ে। অপরদিকে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে চট্টগ্রাম পৌঁছার কথা ছিল। দুর্ঘটনার কারণে এ ট্রেনটি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকায় আটকা পড়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের সুস্থ যাত্রীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় কুমিল্লা বিশ্বরোড, লাকসাম ও চৌদ্দগ্রাম থেকে বাসে করে গন্তব্যে পৌঁছান।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাসানপুর রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয় ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন। এতে যাত্রীবাহী সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ২০-৩০ জন। তবে এখনো পর্যন্ত নিহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান ও ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।