সংবাদ সিক্সটিনঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলা নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার আসামি মোঃ জাকির (৪৫) ও অপর দু'জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া। তিনি জানান, যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মামলার ২নং আসামি মাঝেরচর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মোঃ জাকির (৪৫) এবং ৫নং আসামি একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে আরিফকে (৩৮) র্যাব-৬ ও র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সম্পাদক ও চর নোয়াগাঁও গ্রামের শফেদ আলী ভূঁইয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল আনুমানিক ৩টা ৫০ মিনিটে রূপগঞ্জের ভুলতা-গাউছিয়া এলাকায় ব্যবসায়িক কাজে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর বাসস্ট্যান্ডে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন।
দীর্ঘ সময় কোনো যাত্রী না উঠার কারণে তিনি অটোরিকশা থেকে নেমে অন্য আরেকটি গাড়িতে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এ সময় অটোরিকশা থেকে নেমে যাওয়ার কারণে অটোরিকশার লাইনম্যান জাকির হোসেন ও অটোচালক দায়েন, রানা এবং আরিফের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে তারা লাঠি দিয়ে নজরুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তাদের সাথে স্ট্যান্ডের অন্যান্য অটোচালকরা তাকে কিলঘুষি ও মারধর করে। তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে নজরুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাঝের চর সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের লাইনম্যান জাকির হোসেন, দায়েন, রানা এবং আরিফসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরো পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
র্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনদ বড়ুয়া জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।