নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১৫ জুলাই ২০২৩ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মন্ত্রণায়ের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৬ জুলাই ২০২৩ সকাল ১১.০০টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা।
এ উপলক্ষ্যে ঢাকার বেইলী রোডস্থ শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের সাজসজ্জাকরণ ও বিশালাকৃতির ফেস্টুন টানানো এবং শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের করিডোর রং বেরঙ্গের এক্স ব্যানার ও ব্যাকড্রপ ব্যানার নির্মাণ ও সংযোজন করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি দেশবাসীর জন্য একটি শুভেচ্ছা বাণী প্রদান করেছেন।
শুভ্চ্ছো বাণীতে মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যার ফলশ্রুতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিরাজমান দীর্ঘ দুই যুগের বিরাজমান সংঘাতের অবসান ঘটে। মন্ত্রী এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর শুভেচ্ছা বাণীতে আরও বলেন, ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ১৯৯৮ সালের ১৫ জুলাই বৃহত্তর পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নামকরণে একটি বিশেষায়িত মন্ত্রণালয় স্থাপন করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে দৃঢ়তার সাথে শান্তিচুক্তির ধারাকে অগ্রাধিকার বিবেচনা করে সরকারের নীতি অনুসরণপূর্বক পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছে। মন্ত্রী বীর বাহাদুর শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কে বলেন, শান্তিচুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ইতোমধ্যে ৬৫টি ধারা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বাকি ৭টি ধারার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী বীর বাহাদুর পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে আস্থা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণেই ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তি চুক্তির পটভূমিতে তিন পার্বত্য জেলায় শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা আজ অবধি অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মহান ব্রত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগ ও সুনির্দেশনায় পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। মন্ত্রী তাঁর অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের ধারা এভাবে অব্যাহত থাকলে দেশের এক দশমাংশ এলাকা বেষ্টিত পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের জন্য বোঝা নয়, বরং দেশের জন্য স্মার্ট জনপদ হিসেবে অন্যতম সম্পদে রূপান্তরিত হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তিন পার্বত্য জেলায় দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠা, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং বিকাশে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে মন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম যাতে অনুকরণীয় মডেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ পায় সে লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করেন।