সংবাদ১৬.কমঃ দীর্ঘ ২৫ বছর পরে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বেশ ঘটা করা সোনারগাঁ উপজেলা আ’লীগের সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনের ৮ মাস পর উপজেলা আ’লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে জেলা আ’লীগ। এতে প্রস্তাবিত কমিটি থেকে ১৯ জনের নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি স্বাক্ষরিত ওই কমিটিতে স্থান পাওয়া একাধিক নেতার বিরুদ্ধে রাতারাতি পদ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল স্বাক্ষরিত ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সহসভাপতি ও সেক্রেটারির প্রস্তাবিত কমিটির ১৯ জনকে বাদ দেয়া হয়েছে। এতে প্রস্তাবিত কমিটির পরিচিতি সভা নিয়েও ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের পর থেকেই স্থানীয় তৃণমূল আ’লীগ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা কমিটির বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁ আ’লীগের সভাপতি এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, জেলা কমিটির পক্ষ থেকে এভাবে উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেয়া ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা। আমরা এ কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছি। এ জন্য যা কিছু প্রয়োজন তাই করা হবে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
সদ্যঘোষিত এ কমিটির সমালোচনা করে সোনারগাঁ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সার মুঠোফোনে বলেন, জেলা আ’লীগের দেয়া কমিটি আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি । আমাদের সাথে কোন ধরনের পরামর্শ না করেই জেলা আ’লীগ এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। যাদের কেউ চিনে না এবং জাতীয়পার্টির লোককে এ কমিটিতে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রে সোনারগাঁকে বিতর্কিত করতে ও সাংগঠনিকভাবে দূর্বলতার পরিচয় দিতে জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এ কমিটি দিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আ’লীগের সভাপতি আব্দুল হাই জানান, আমরা যে কমিটি অনুমোদন দিয়েছি তা সঠিক মনে করে দিয়েছি। সোনারগাঁ উপজেলা আ’লীগ এ কমিটিকে না মানলে আমাদের কিছু করার নেই। যারা যোগ্য তাদেরকেই পদ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত বছরের সেপ্টেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সভাপতি, সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ সদস্য বিশিষ্ট সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করে দেন। পরবর্তীতে চলতি বছর মে মাসে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রস্তাবিত কমিটি ঘোষণা দেন সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ। গত ৭ জুন প্রস্তাবিত কমিটিকে নিয়ে একটি পরিচিতি সভাও করেন সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ। এ সভা নিয়ে ক্ষিপ্ত হন জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দ।
যারা বাদ পরেছেন
১.মো.শহিদুল্লাহ সরকার (প্রস্তাবিত কমিটির সহ সভাপতি), ২. বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবাদুল হক মাস্টার (প্রস্তাবিত কমিটির সহ সভাপতি) ৩.খন্দকার আমিনুল ইসলাম (প্রস্তাবিত কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক) ৪.সাইদুর রহমান মোল্লা (প্রস্তাবিত কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক) ৫.মাওলানা ইউসুফ দেওয়ান (প্রস্তাবিত কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক) ৬.নির্মল কুমার সাহা (প্রস্তাবিত কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক) ৭. রফিকুল হায়দার বাবু ( প্রস্তাবিত কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক) ৮.মো. আতাউর রহমান (প্রস্তাবিত কমিটির সহ প্রচার সম্পাদক)
৯.চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল (প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য) ১০.চেয়ারম্যান শামসুল আলম শামসু (প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য) ১১. সনজিৎ হাসনাত (প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য) ১২.আহসান হাবিব টিপু (প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য) ১৩.মো. তাজুল ইসলাম (প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য) ১৪.মোশাররফ হোসেন মেম্বার (প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য) ১৫.মোঃ আব্দুল হালিম (প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য) ১৬.মো. শামসুল আলম (প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য) ১৭.মোঃ কবির হোসেন (প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য) ১৮.অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আমির হোসেন (প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য) ১৯.মো. রাসেল উদ্দিন রাসেল (প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য)
যে ২০ জনকে নতুন যুক্ত করা হয়েছে তারা হলেন
১.মোশাররফ হোসেন চেয়ারম্যান (সহ-সভাপতি) ২.নজরুল ইসলাম মনির (সহ-সভাপতি) ৩.অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মর্তুজা (সহ-সভাপতি) ৪.মাসুদ রানা মানিক (সহ-সভাপতি) ৫. বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির (আইন বিষয়ক সম্পাদক) ৬.রাসেল মাহমুদ (কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক) ৭.সালাউদ্দিন মাসুম (ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক) ৮.প্রদীপ কুমার ভৌমিক (বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক) ৯.রাসেল মাহমুদ( ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক) ১০.এডভোকেট মোখলেসুর রহমান আমির ( সহ দপ্তর সম্পাদক) ১১.আলী হাসান মেহেদী (সহপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক) ১২.এরফান হোসেন দীপ( সদস্য) ১৩.নজরুল ইসলাম( সদস্য)
১৪.কাজী মো. মাসুম (সদস্য) ১৫.দীপক কুমার বণিক দিপু (সদস্য) ১৬. এনামুল হক বিদ্যুৎ (সদস্য) ১৭.জসীমউদ্দীন (সদস্য) ১৮. কাদির খান জয় (সদস্য) ১৯.নজরুল ইসলাম।