সংবাদ ডেস্কঃ টাইটানিকের কাছে পাওয়া ধ্বংসাবশেষটি নিখোঁজ ডুবোজাহাজ টাইটানের বলে নতুন করে খবর পাওয়া গেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, টাইটানে থাকা যাত্রীদের বন্ধু ডেভিড মেয়ার্ন্স তাদের এ খবর জানিয়েছেন।
মেয়ার্ন্স বিবিসিকে বলেন, ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ডুবোজাহাজটির অবতরণের একটি ফ্রেম এবং পেছনের আবরণ রয়েছে। এক্সপ্লোরার্স ক্লাবের (উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে যুক্ত) সভাপতি এ নতুন তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি মেয়ার্ন্সের। এর আগে অনুসন্ধান চলাকালে টাইটানিকের কাছে একটি ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার কথা জানায় মার্কিন কোস্টগার্ড। এ নিয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করবে তারা।
এক বিবৃতিতে কোস্টগার্ড জানিয়েছে, হরাইজন আর্কটিকের একটি যান টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে সমুদ্রের তলদেশে একটি ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার বিষয়টি বিশেষজ্ঞরা পর্যবেক্ষণ করছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিবিসি নিউজের বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদদাতা জোনাথন অ্যামোস বলছেন, এটি কিছু হতে পারে, বা কিছু নাও হতে পারে। তবে মার্কিন কোস্টগার্ড গত কয়েকদিন খুব বেশি কিছু বলেনি। তাই এ বিষয়ে তাদের এমন তথ্য তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। জোনাথন আরও বলেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলার সময় অনেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন যে নিখোঁজ ডুবোযানটি হয়তো বিস্ফোরণের শিকার হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গল ও বুধবার ডুবোযানটি থেকে দুবার আওয়াজ শোনার কথা জানায় মার্কিন কোস্টগার্ড। দুবারই কানাডার পি-থ্রি বিমান এ শব্দ শনাক্ত করে। পি-থ্রি মডেলের এ ওরিয়ন স্পটার বিমানটি যে কোনো ধরনের বস্তু শনাক্তের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে রয়েছে ইনফ্রারেড, দীর্ঘ পাল্লার ইলেকট্রো-অপটিক্যাল ক্যামেরা ও বিশেষ ইমেজিং রাডার।
গত রোববার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে সাগরের তলদেশে যাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পর ডুবোযানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় ডুবোযানে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন ছিল।
ডুবোযানে থাকা নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—পাকিস্তানের ধনকুবের শাহজাদা দাউদ, তার ছেলে সুলেমান, যুক্তরাজ্যের ধনকুবের হ্যামিশ হার্ডিং, ফরাসি সাবমার্সিবল পাইলট পল হেনরি ও টাইটানিক অভিযান সংস্থার সিইও স্টকটন রাশ।