জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় নির্মাণাধীন নতুন ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীর ভাঙচুরের প্রতিবাদে অভিযুক্ত বাবুল এবং সহযোগীদের গ্রেপ্তারসহ ৭দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্প্রতিবার (২২জুন) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সহ শিক্ষার্থীদের নানা সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। এসময় ঘটনার প্রধান অপরাধী নূর আলম ওরফে বাবুলের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ৭দফা দাবিগুলো হলোঃ
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল ভাঙ্গার অপরাধে বাবুল সহ তার গুন্ডা বাহিনীকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে।
২. ক্যাম্পসের সমতল ভূমি থেকে যারা মাটি চুরি করে ১৫০ টি কুপ করেছে তাদের কে তদন্তের মাধ্যমে বিচার করতে হবে।
৩. নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে আমাদের শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাগব করার জন্য সচেষ্ট হতে হবে।
৪. নতুন ক্যাম্পাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষিত পুলিশ ফাঁড়ির দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
৫. নতুন ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নিজস্ব সিক্রুটি গার্ডের ব্যবস্হা করতে হবে।
৬. চলমান সীমানা প্রাচীরের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।
৭.কোন অদৃশ্য শক্তি যাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের ব্যঘাত না পারে সেই নিশ্চয়তা করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা যায়, সোমবার (১৯ জুন) ক্যাম্পাসের পূর্ব দিকে অবস্থিত মুজাহিদনগর মাদ্রাসার পাশে সীমানা প্রাচীরের সাতটি কলাম (পিলার) স্থানীয় নূর আলম ওরফে বাবুল তার ম্যানেজার বিলাস ও ড্রাইভার কামালসহ স্থানীয় ২০-২৫ জন লেবার এনে হাতুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভাঙচুর করেছে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে পুলিশ এলে পালিয়ে যান তারা। এসময় তাদের ব্যবহৃত প্রাডো জিপ গাড়ি রেখে চলে যান। পরে গাড়িটি জব্দ করে কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এর প্রতিবাদে মানববন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইউনুস বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার, স্বপ্নের স্মার্ট ক্যাম্পাস আজ ভূমিদ্যসুদের দখলে। আজ অস্তিত্বের উপর যে কালো হাত সেটার যদি বিচারের আওতায় না আনা হয় তাহলে পরবর্তীতে শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর আরো আগ্রাসন চালানো হবে। কারন তারা ২২ হাজার শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থী, অন্যান্য সংগঠনের পাশাপাশি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি এবং বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার এর প্রতি কৃতজ্ঞ যে তারা সব সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকেন।
মানববন্ধনে প্রশাসন বিভাগের ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাফিজ অন্তর বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বারবার রাজপথে নামতে হয়েছে। যদি দরকার হয় আবারও রাজপথে নামবে শিক্ষার্থীরা। আমরা সুকান্তের ঝলসানো রুটির মতো থাকতে চাই না। নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলন হবে।