সংবাদ১৬.কমঃ কখনো দুদক কর্মকর্তা, কখনো ডিবি পুলিশ আবার কখনো সাংবাদিক পরিচয়ে হর হামেশাই চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে একটি চক্র। সেই চক্রের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পৌর এলাকায় দুদক ও ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়ে চাঁদা দাবির প্রতিবাদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে ৪ গ্রামের নারী পুরুষ।
২০ জুন সোমবার বিকেলে উপজেলার পৌর ষোলপাড়া ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে ওই চক্রের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। মানববন্ধনে ষোলপাড়া, ভট্টপুর, লাহাপাড়া ও গাবতলী গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে অংশগ্রহণ করেন। এসময় চাঁদাবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান এলাকাবাসী।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, মুজিবুর রহমান, সানাউল্লাহ, মোমেলা বেগম, আব্দুল আজিজ ও আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় বক্তরা বলেন, উপজেলার ষোলপাড়া এলাকায় একটি জমি নিয়ে মুজিবুর রহমান ও আক্তার হোসেনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। গত ৭ মে দুপুরে আক্তার হোসেনের পক্ষ নিয়ে হাতকোপা গ্রামের হাফিজ মিয়ার ভাড়াটিয়া মোক্তার হোসেন মোক্তাদির নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে মো. দেলোয়ার হোসেন, জীবন আহমেদ, নাজমুল হোসেন জয় ও জান্নাত জাহাসহ ৫-৭ জনের একটি দল নিজেদের দুদক ও ডিবি কর্মকর্তা পরিচয়ে বিরোধপূর্ন জমিতে গিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখায়। এসময় ওই বাড়ির লোকজন আতংকিত হয়ে দিববিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। দৌড়ে পালাতে গিয়ে ৩-৪ জন আহত হন।
মানববন্ধনে মুজিবুর রহমান দাবি করেন, জমি ক্রয় করে আমি ভূমি অফিস থেকে নামজারি করে ভোগ দখলে রয়েছি। সম্প্রতি ভট্টপুর এলাকার আক্তার হোসেন নামের একজন এ জমি দাবি করে। সঠিক কাগজপত্র দেখাতে বলতে তারা দেখাতে পারেনি। গত মাসের ৭ তারিখে আক্তার হোসেনের পক্ষ নিয়ে মোক্তার হোসেন মোক্তাদিসহ ৫-৭ জনের একটি দল গায়ে জ্যাকেট জড়িয়ে নিজেদের ডিবি কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান। পরবর্তীতে তাদের ব্যক্তিগত অফিসে দেখা করার কথা বলে নিয়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এসময় একটি খাতায় আমাদের স্বাক্ষর রেখে দেয়।
মানববন্ধনে সানাউল্লাহ নামের এক ব্যক্তি জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় দুদক, ডিবি ও মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে। তাদের চাঁদাবাজিতে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাই।
অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন মোক্তাদির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চাঁদা দাবির বিষয়টি সত্য নয়। আমরা দুদক ও ডিবি পুলিশ পরিচয় দেইনি। জমি সংক্রান্ত বিরোধের মিমাংসা করার জন্য সেখানে গিয়েছিলাম। তবে আমাদের গায়ে প্রেস জ্যাকেট ছিল।