মো.মাইনুল ইসলাম, ঢাকাঃ সাভারে ঋণের টাকা তুলতে গিয়ে হামলা শিকার হয়ে এক এনজিও কর্মী নিহত হয়েছেন। তিনি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও)ব্র্যাকের একজন কর্মী ছিলেন। হামলায় নিহত ব্যক্তির নাম রেজাউল করিম (৫০) এঘটনায় শাহিন আলম (২২) নামের এক পোশাক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
১৫ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভার মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল্লাহিল কাফী। সংবাদ সম্মেলনের পর আসামিকে থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়।
নিহত রেজাউল করিম পাবনার ভাঙ্গুড়িয়া থানার চৌগাছিয়া এলাকার মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে। তিনি ব্র্যাকে মাঠ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত শাহিন আলম রাজশাহীর বাসিন্দা। তিনি একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন।
প্রত্যক্ষকারীরা জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া ভাওয়ালীপাড়া এলাকা থেকে রেজাউল করিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, বুধবার বিকেলে ভাওয়ালীপাড়া আসাদুজ্জামানের বাসার নিচতলার এক ভাড়াটিয়া শাহিন আলমের কাছে কিস্তির টাকা সংগ্রহে যান। আগের দিন ১৩ জুন কিস্তির টাকা চাইতে গেলে পরদিন দেবেন বলেন। পরদিন বুধবার রেজাউল করিম তাঁর বাসায় টাকা চাইতে গেলে বাগ্বিতণ্ডা হয়।
তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে রেজাউল করিমকে তিনি মারধর করতে থাকেন। এ সময় অণ্ডকোষে আঘাত পেয়ে রেজাউল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তিনি মারা গেলে শাহিন লাশ বাসা থেকে বের করে সামনের সিঁড়ির নিচে রেখে দেন। তা ছাড়া রেজাউলের পকেটে থাকা ৫০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নেন শাহিন। সেই টাকা তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন শাহিন।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কাউসার আহমেদ বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন, ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ রাসেল মোল্লা, পুলিশ উপ-পরিদর্শক সুদীপ কুমার ঘোপসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।