নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেল-শিক্ষা-কৃষিসহ সকল সেবা খাতে ভর্তুকি বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ-এর ঘোষণা দিয়েছেন, তখন খসড়া বাজেটের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে কলম-কাগজসহ সকল শিক্ষা উপকরণের পাশাপাশি গ্যাস-বিদ্যু-জ্বালানি তেলসহ সেবাখাত সংশ্লিষ্ট সকল কিছুর মূল্য বৃদ্ধি হবে, এতে করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করা প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ।
সেই সাথে উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করছি যে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ ইউটিলিটি বা সেবা খাতে ৮২ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা থাকলেও তা বাস্তবায়ন যেমন হয়নি, তেমনি এবার অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশে চরম মূল্যস্ফিতির পরও দ্বিগুণ ভর্তুকির বরাদ্ধ না রেখে মাত্র ৩৫ ভাগ বাড়িয়ে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা বরাদ্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যা কোনভাবেই প্রতুল নয়।
নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি কৃষি খাতে বরাদ্ধ বৃদ্ধিসহ ১১ টি গুরুত্বপূর্ণ খাতেও বরাদ্ধ বৃদ্ধির দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বোর্ডের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নূরজাহান নীরা, যুগ্ম মহাসচিব মনির জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজেদ রানা, চাঁদ আহমেদ জীবন, মামুন রায়হান ও আফতাব মন্ডল প্রমুখ।
নতুনধারার রাজনীতির প্রবর্তক কলামিস্ট মোমিন মেহেদী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, সারাদেশের মানুষ সরকারের কাছে একটা জনবান্ধব বাজেট প্রত্যাশা করে, অথচ গত ৫২ বছরের একটি বাজেটও জনবান্ধব হয়নি, নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা রাজনীতির অপরাজনীতি যেমন চায় না, তেমনি বাজেট-এর নামে মানুষকে কষ্ট দিয়ে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে অর্থনীতিও ধ্বংস চায় না। তাই তারা রাজপথে নেমেছে, রাজপথে থাকবে বাজেটে ভর্তুকি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত না নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত।