সাকিব হোসেইন, কুমিল্লাঃ কুমিল্লার তিতাসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (দাউদকান্দি-তিতাস) উপজেলাকে একত্রিত করে কুমিল্লা-১ আসন সিমানা নির্ধারন করে গেজেট প্রকাশ করায় উচ্ছ্বসিত হয়ে আনন্দ মিছিল করে তীব্র সমালোচনার মুখে তিতাস উপজেলা বিএনপি’র একাংশ।
(দাউদকান্দি-তিতাস) কুমিল্লা-১ আসন সিমানা নির্ধারনের আনন্দে গত (১০ জুন) তিতাস উপজেলা বিএনপির একাংশ উপজেলার সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে আনন্দ মিছিল করে কিন্তু এ মিছিলে সর্বস্তরের জনগন কথাটি উল্লেখ্য থাকলেও শুধুমাত্র উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোষ্ট করতে দেখা যায় নেটিজনদের। পরে এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা তৈরি হয় সর্বস্তরের জনগনের মাঝে। স্থানীয় রাজনৈতিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিতাস উপজেলা বিএনপির একাংশ সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে আনন্দ মিছিল করে সাধারন মানুষের সাথে ধোকাবাজী করেছে।
তিতাস-হোমনা নিয়ে কুমিল্লা-২ আসন থাকলেই আমাদের উপজেলার মানুষ বেশ খুশি ছিল, আসনটি পরিবর্তন হওয়ায় সাধারন মানুষ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দুঃখ প্রকাশ করেছে। সেখানে উপজেলা বিএনপির একাংশ আনন্দ মিছিল করে জনগনের সাথে তামাশা করেছে। মিছিলে বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়া অন্য কোন শ্রেনী পেশার লোকজন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীর কেউ উপস্থিত ছিল না। তিতাস উপজেলা বিএনপি’র একাংশের কিছু নেতা নিজেদের দলীয় স্বার্থ হাসিল ও নিজেদের নেতাকে খুশি করার জন্য সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে এ নাটকীয় আনন্দ মিছিল করেছে, কারন তাদের ক্ষমতা নেই নিজের দলীয় ব্যানারে আনন্দ মিছিল করার।
উল্লেখ্য, তিতাস উপজেলা বিএনপি দলীয় গ্রুপিং এর কারনে দুই ভাগে বিভক্ত যার একাংশের নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ আর অপর অংশের নেতৃত্বে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রাক্তন এপিএস-২ ইঞ্জিনিয়ার এম.এ মতিন খান।