নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিমানের জ্বালানী তেল জেট-এ ১ পদ্মা ওয়েল কোং লিঃ এর গোদনাইল পদ্মা ডিপোর জ্বালানী তেল লুটপাটসহ দুর্নীতির বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে ট্যাংকলরী মালিক শ্রমিক ও ডিপোর নেতারা।
জানা যায়, বিপিসি নিয়ন্ত্রিত পদ্মা ওয়েল কোং লিঃ এর নারায়ণগঞ্জ গোদনাইল ও কুর্মিটোলা এভিয়েশন ডিপোতে সাধারণ তেল ও বিমানের তেল পরিবহনে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে কয়েকজন চিহ্নিত ট্যাংকলরী মালিক ও শ্রমিক নেতারা। যার নেতৃত্বে রয়েছে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতা যিনি ভূইয়া বংশের আত্মীয়। এছাড়াও তার একজন জামাতা পদ্মা ওয়েল কোম্পানীতে চাকরী করছে। ফলে কোম্পানী থেকে অবৈধ ভাবে তেল লুটপাট ও দৈনিক ভিত্তিতে ডিপো থেকে চাঁদা দিতে কোম্পানীকে বাধ্য করছে ঐ নামধারী নেতা। শুধু তাই নয় স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি সমর্থক ও ট্যাংকলরী শ্রমিক সংগঠনের পার্শ্ববর্তী ডিপোর প্রশাসন নির্ভর হেড অফিসের এক কর্মকর্তার লোক যা ইচ্ছে তাই করছে এবং তাদের সমর্থনে রয়েছে শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের স্থানীয় দুইজন প্রভাবশালী কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতার দ্বন্দ্বে দুইটি গ্রুপ কাজ করায় তেলের রাজনীতি এখন উত্তাল হয়ে উঠছে। পদ্মা ট্যাংকলরীর দুর্নীতি ও সাধারণ সমর্থকদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে যারা রাষ্ট্রীয় উর্ধ্বতন ব্যক্তিদের নাম পরিচয় ব্যবহার সহ কোম্পানীতে কর্মরত ডিপোর কিছু বিশৃঙ্খল নেতা ও জামাতার প্রভাব প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে সমগ্র এলাকা উত্তপ্ত হচ্ছে। ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের।
আরো জানা যায়, ডিপোর কর্মচারীদের একাংশ তাদের চরম বিরুদ্ধে। তারা পেশী শক্তির পূজারী। তাই তাদের অবস্থান নতুন মিশনে গোদনাইল পদ্মা ট্যাংকলরীর মালিক সমিতি ও সাধারণ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। তাদের অবস্থান কতিপয় সুবিধাবাদী রাজনৈতিক লোক তার পক্ষে রয়েছেন। তিনি স্থানীয় ভাবে একটি রাজনৈতিক বলয় তৈরি করে পদ্মার তেল সিন্ডিকেট মেঘনা দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। যা রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নিতে পারে। আর তাতে সমগ্র বদনাম হবে এমপি শামীম ওসমান ও তার সমর্থকদের।
তাই দলের স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে দুষ্ট ট্যাংকলরী শ্রমিক নেতার হাত থেকে তেল সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। অন্যথায় অঘটন ঘটতে পারে পদ্মা ডিপো গোদনাইলে। এতে তেল সমস্যায় ভুগতে পারে সারাদেশ এবং বদনাম হবে সরকারের।
এই ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জরুরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।