বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪

সাভারে ২৫ লাখ টাকা ছিনতাই, গ্রেফতার-৩

সাভার প্রতিনিধিঃ ঢাকা জেলার সাভারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ২৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে নগদ ১১ লাখ টাকা উদ্ধার ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে।

২৮ মে রোববার দুপুর ১টার দিকে সাভার মডেল থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মাগুরা সদর থানার রাঘবদাইড় গ্রামের মোঃ শিমুল (৩৬), বরিশাল জেলার গৌরনদী থানার বাটাজোর গ্রামের মোঃ তাওহিদ ইসলাম (৪৫) ও পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার ঠাকুরহাট বাজারের রামবল্লভ এলাকার মোঃ জসিম উদ্দিন (৪৫)।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার বলেন, গত ৭ মে মার্কেটিং ফাতেমা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার হাবিবুর রহমান ও সিকিউরিটি গার্ড নাঈম ইসলাম ইসলামি ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা হেমায়েতপুর শাখায় জমা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। সকাল পৌনে ১১টার দিকে উলাইল বাস স্ট্যান্ড এলাকা থেকে প্রাইভেটকারে ছিনতাইকারীরা নাঈমের হাতে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় ৮ মে মামলা করেন প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী ফজলুল হক।

মামলার পর অপরাধীদের শনাক্তে সাভার মডেল থানা পুলিশের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়। সাভার মডেল থানার এসআই সুদীপ কুমার গোপের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহমুদুল হাসানসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ওই টিমে কাজ করেন। টিমটি প্রথমে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে গাড়ি শনাক্ত করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ৩ আসামির অবস্থান শনাক্ত করে গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে পটুয়াখালীর দশমিনা থানার আদর্শ নগর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে জসীমের দেওয়া তথ্যমতে, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাত ১০ টার দিকে শিমুল ও তাওহিদকে গ্রেপ্তার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে আরও ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয় এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত গাড়িটিও জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী উল্লেখ করে পুলিশ সুপার জানান,’তাদের নামে রাজধানীসহ বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে। তবে ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না বিষয়টি নিশ্চিত হতে তাদের ৩ জনের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করাটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই আমরা গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছিলাম। অবশেষে মামলার ৩ আসামিসহ ১১ লাখ টাকা উদ্ধার করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। বাকি টাকা উদ্ধার ও আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়