স্টাফ রিপোর্টারঃ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ মুনতাসির আলী বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় উচ্চমূল্যে সাধারণ জনগণের বেঁচে থাকা এখন দায় হয়ে পড়েছে। একদিকে এলসির অভাবে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে দলীয় সিন্ডিকেটের কারণে বাজার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেছে।
ঘন ঘন বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিভ্রাট চরম আকার ধারণ করেছে। একদিকে ভোটাধিকার আদায়ের সংগ্রাম অন্যদিকে পেটের ক্ষুধা নিবারণের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হচ্ছে দেশের জনগণকে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের উপর অন্য আরেকটি দেশের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিতে দেশের সম্মান মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন অত্যাসন্ন। এবার সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যার্থ হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে। সরকারের উচিত টালবাহানা না করে দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু করা। ইতিমধ্যে দেশের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি জাতীয় নির্বাচন দিয়ে দেশকে রক্ষা করুন। খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮দফা দাবি আজ গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে জনগণের সকল ন্যায্য দাবি মেনে নিন।
শনিবার ২৭ মে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরী ও জেলা শাখা আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
চলমান আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে মহানগর সভাপতি ডাঃ শরীফ মোহাম্মদ মোসাদ্দেকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল জলিল।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী, মহানগর সহ-সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহ আলম, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানা সভাপতি হাফেজ কবির হোসাইন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান, ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল, মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক হানিফ কবির বাবুল, মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাফেজ মুহাম্মাদ আওলাদ, জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী আব্দুল গনী, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বন্দর থানা পশ্চিম শাখা সভাপতি মাওলানা ফরিদুজ্জামান, ইসলামী যুব মজলিসের মহানগর আহবায়ক প্রফেসর মাইদুল ইসলাম, জেলা আহবায়ক ডাঃ মোতাহার হুসাইন, ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে খেলাফত মজলিসের ৮দফা দাবি গুলো তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ধর্মীয় শিক্ষা সংকোচন নীতি বন্ধ ও বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করা। দল নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। নির্বাচনে সবার জন্যে সমান সুযোগ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বন্ধ রাখা। গ্রেফতারকৃত আলেম উলামা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করা। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের অবাধ সুযোগ নিশ্চিতকরণ। পণ্যমূল্য কমিয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব ও দুর্নীতি নির্মূল করা। বেকার সমস্যা সমাধান ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ দিতে হবে।