বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ

সংবাদ১৬.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উজেলার বারদী ইউনিয়নের পাইকপাড়া মৌজার সাড়ে তিন শংতাশ জমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক দখল করে ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।

শনিবার ভোরে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ আদালতের নির্দেশনা পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বিবাদীদের নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানাযায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের মোসলেমের ছেলে তাকবীর হোসেন বাদি হয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চেঙ্গাকান্দি গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে নবী হোসেন (৪০), শাহ জালাল (৩৫), একই গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে হৃদয় (২২), খাজা মিয়ার ছেলে নুর আলম (২০) কে বিবাদী করে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যাহান নং-৩৮৮/২৩ইং।

সেখানে উল্লেখ করেন মোসলেম উদ্দিন পৈত্রিক ওয়ারিশ ও খরিদ সুত্রে মালিক হয়ে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করে আসছে। বর্তমানে অসুস্থ থাকার সুযোগে বিবাদীরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে মোসলেম উদ্দিনের প্রায় সাড়ে তিন শতাংশ জমিতে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করে দখলে নেওয়ার পায়তার করেছে এবং বিভিন্ন  ভাবে হুমিক দিচ্ছে।

এমন অভিযোগে অতিরিক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত ১৪৫ ধারায় বিবাদীকে সকল প্রকার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে নোটিশ দেয়।  কিন্তু আদালতের নিদের্শ অমান্য করে জোরপূর্বক জমিতে ঘর নির্মাণ করে দখলেরর চেষ্টা করছে।

আদালতের নির্দেশ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে  গিয়ে নিমার্ণ কাজ বন্ধ রাখতে বিবাদীদের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসলে বিবাদীরা ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে বাদির বাড়ি ঘরে হামলা ও  ভাংচুর করে। এ ঘটনায় তাকবীর বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার বাদি তাকবীর হোসেন বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও আমাদের জমিতে বিবাদীরা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাস দিয়ে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করছেন। পুলিশ বিবাদীদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে চলে আসলে বিবাদীরা লোকজন নিয়ে আবারও আমাদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করে। বর্তমানে আমাদের পরিবারের সকল সদস্য নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।

অভিযুক্ত নবীর হোসেন বলেন, আমাদের জমিতেই ঘর নির্মাণ করেছি। তাদের অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা।

সোনারগাঁ থানার সেকেন্ড অফিসার পংকজ কান্তি সরকার বলেন, আদালতের আদেশ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করেছি। এ ঘটনার প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে। হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ পাইনি।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়