ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ পাঁচটি দেশি জাতের ছাগল পালন শুরু করে সফল হয়েছেন নুর বানু(৪০)। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার খড়ি বাড়ি (বড়দেশ্বরী) গ্রামে একজন গৃহিণী।
অভাবের তাড়নায় কোনোমতে সংসার চলতো তার। অনাহারে-অর্ধহারেও গেছে অনেক সময়। কিন্তু স্বল্প পুঁজি দিয়ে আজ অনেকটা স্বাবলম্বী। তিনি নিজের ইচ্ছে-শক্তির মাধ্যমে আজ একজন সফল।আর এ নুরবানুকে দেখে এখন এলাকার অনেক বেকার যুবকরা ছাগল পালন করতে শুরু করেছে।
জানা যায়, ১৯৯২ সালের শেষ দিকে নিজের বাড়িতে ছাগল লালন পালন শুরু করেন খড়ি বাড়ি (বড়দেশ্বরী) গ্রামের আলহাজ মোঃ মকবুল হোসেনের স্ত্রী নুর বানু। প্রথম দিকে ৫ টি ‘দেশি’ জাতের ছাগল কিনে বাড়িতে পালন শুরু করেন। এর ১ বছর পর ৪টি ছাগল বিক্রি করে লাভ পেতে শুরু করেন। তারপর আরও কয়েক টি ছাগল কিনেন। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার ছাগল রয়েছে ছোট বড় মিলে ৩৫ টি।
নুর বানু বলেন, নিজের উদ্যেগে ৫ টি ছাগলের বাচ্চা ক্রয় করে লালন-পালন শুরু করি। বর্তমানে আমার খামারে দেশি জাতের প্রায় ৩৫ টি ছাগল রয়েছে। এসব ছাগল পরিচর্যার জন্য আমার পরিবারের সদস্যরা রয়েছে। এই ছাগলগুলো প্রতি বছর বাচ্চা দেয়। প্রতি দুই/তিন মাস অন্তর ১০ থেকে ১৫ টি ছাগল এখান থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, এই ছাগল পালনে আমি এখন সাবলম্বী হয়েছি বাড়ি করেছি জমি-জমা কিনেছি এবং গত বছর আমার স্বামীকে পবিত্র হজ করতে পাঠিয়েছি। তিনি একটু ক্ষোভের সাথে বলেন, আমি এই এলাকায় প্রথম ছাগলের খামার করেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সরকারি সহযোগিতার মুখ দেখিনি।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হেমন্ত কুমার রায় বলেন, নুরবানু বেগম নিঃসন্দেহে একজন ভালো খামারি হিসেবে শুনেছি তবে আমরা শিগগিরই নুরবানুর ছাগলের খামার পরিদর্শন করব এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সর্বদা সঠিক পরামর্শ দিবে।