বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪

ধাঁন্দাবাজ সাংবাদিকরা ছুটছে অবৈধ গ্যাস সংযুক্ত বাড়িতে বাড়িতে

সংবাদ১৬.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চলছে সাধারন জনগণের উপর বাটপারী। অবৈধ গ্যাস সংযোগ খোঁজে নামধারী ধাঁন্দাবাজ সাংবাদিক ও বিভিন্ন সংস্থার লোকেরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়িতে বাড়িতে পাড়া মহল্লা ও আবাসিক বাণিজ্যিক এলাকায় চোরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাড়িবাড়ি গিয়ে আনাচে কানাচে গ্যাস লাইনের রাইজার খুঁজছে।

অবৈধ লাইনের খোঁজ পেলেই কয়েকজন মিলে একসাথে টিভি ক্যামেরা ও বুম নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ছবি তুলে ভিডিও করে আতঙ্ক ছড়ায়। একজন বলে তিতাসের এমডিকে ফোন দাও, আরেকজন বলে তিতাসের মোবাইল কোর্ট আছে এখনি জানালে লাইন কেটে নিয়ে যাবে এমন নাটক করে প্রথমেই ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। এরপর শুরু হয় অবৈধ সংযোগকারীদের সাথে বোঝাপড়া। সেটেলমেন্ট হয়ে যায় ৫-১০ হাজার টাকায়, আবার কোথাও লাখ টাকা পর্যন্ত পৌঁছায়। কিছুক্ষণ আগে যারা সিংহের মতো হুংকার দিয়েছিল তারাই এবার টাকা পেয়ে বিড়ালের মতো ম্যাঁও ম্যাঁও করে সেখান থেকে প্রস্থান করে।

এসব নামধারী সাংবাদিকদের মধ্যে দু’একজনের তিতাসের হুমড়া চোমড়া টাইপের কর্মকর্তার সাথে পরিচয় আছে। তারাও আবার বিভিন্ন অবৈধ সংযোগকারীদের নিকট হইতে মাসিক মাসোয়ারা খায়। কোথায় কোন অবৈধ সংযোগ আছে নামধারী সাংবাদিকরা খোঁজ খবর দেয়।

এ যেন চোরে চোরে মাস্তত ভাই। তারা মিলে মিশে হারাম পন্থায় আয়কৃত টাকা নিজেদের পকেট ভরে ডাকাতের মতো হাসে। অবৈধ সংযোগকারীদের আশ্বস্ত করে জানায়, অন্য কেউ ডিস্ট্রাব করলে আমাকে ফোন দিবেন। এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে। তিতাস কর্মকর্তাদের সাথে জাহাঙ্গীর নামে একব্যক্তি সাংবাদিকের সাথে একটি অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীর বাসায় প্রবেশ করে সেখান থেকে  টাকা নেয়। সেই টাকার ভাগ থেকে মাত্র কিছু টাকা সাংবাদিককে দিলে তিনি রাগান্বিত হইয়া সেখান থেকে চলে এসে বিষয়টি হাটে হাড়ি ভাঙ্গার মতো সবাইকে জানালে বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল।

উল্লেখ্য, নামে মাত্র নামধারী কয়েকজন সাংবাদিককে নিয়ে তিতাস কতৃপক্ষ এ ধরনের নাটকীয় অভিযান (ভ্রাম্যমাণ আদালত) পরিচালনা করে আসছে। যা পুরোটাই মানুষদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল। কারন প্রতিটি পরিবার রাইজার নেয়ার সময় এই তিতাসকে টাকা দিয়েই গ্যাস সংযোগ নিয়েছিল, আবার তাদেরই গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নাটক করে যাচ্ছে তিতাস।

তিতাসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মনিরুজ্জামানের নাকি ঢাকার আশেপাশে বিশাল অট্টালিকা আছে। তার কোন অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী তিতাসের টিমের প্রয়োজন হয়না। সে নিজেই তিতাসের আইডি কার্ড দেখিয়ে বিভিন্ন অবৈধ সংযোগকারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা।

এসব বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মনিরুজ্জামান বলেন, আমার বিষয়ে কোন অভিযোগ থাকলে হেড অফিসকে অবহিত করেন।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়