সংবাদ১৬.কমঃ দেশে আইনের শাসন না থাকার কারণে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাত্রা এখন আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। পুলিশ আইনের রক্ষক। অথচ তারাই আইন ভঙ্গের মাধ্যমে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম চালাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের অস্তিত্ব এখন এতোটাই সংকটাপন্ন যে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা দেশের জনগণসহ বিএনপি ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর মরণকামড় দিতে শুরু করেছে। রবিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে এখন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশের উপরই কেবল বাধা দেয়া হচ্ছে না, বরং যেকোন জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের উপরও ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় কেবল আওয়ামী সন্ত্রাসীরাই নয়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীও এ ধরণের হামলায় পিছিয়ে নেই।
তিনি বলেন, দুর্গাপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন মহান স্বাধীনতা দিবস এর মতো একটি জাতীয় অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে র্যালীতে পুলিশের বাধা, টিয়ারশেল, গুলি ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুলিবিদ্ধ এবং ৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রমাণ করে বাংলাদেশ বর্তমানে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য।
তিনি আরও বলেন, দুর্গাপুর উপজেলা এবং পৌর বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে পুলিশ কর্তৃক হামলা, নেত্রকোণা জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ও দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমাম হাসান আবু চান চেয়ারম্যান গুলিবিদ্ধ, দুর্গাপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক আতাউর রহমান ফরিদ আলী, পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু সিদ্দিকুর (গুলিবিদ্ধ অবস্থায়), গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলমসহ ৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল আলম ভুঁইয়া, দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব হারেজ গণি, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন মাষ্টার, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সম্রাট গণি, দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শিশির আহমেদ এবং উপজেলা বিএনপি নেতা বাদশা মিয়া সহ ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুলিবিদ্ধ করা ও নেতাকর্মীদের তিন শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার ঘটনা তারই প্রমাণ। সব মিলিয়ে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী এখন ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসন করছে।
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে উল্লিখিত গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান। তিনি পুলিশী গুলিবর্ষণে গুরুতর আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।
ফখরুল বলেন, দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ এবং বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর ক্রমাগত জুলুম ও রক্তপাতের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। সুত্র: ঢাকা টাইমস