সংবাদ১৬.কমঃ মুঠোফোন যেন আমাদের হাতেরই একটা অংশ হয়ে গেছে। কেউ কেউ তো মুঠোফোন ছাড়া একটা মুহূর্ত কল্পনাও করতে পারেন না। ফলে অনেকেই আছেন, যাঁরা ঘুমের সময়েও প্রিয় ফোনটাকে কাছে রাখতে চান। হয় ফোন স্ক্রল করতে করতে কিংবা গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েন। কিংবা অ্যালার্ম সেট করে ফোনটা রেখে দেন বালিশের পাশে। কিন্তু এভাবে ঘুমানোর বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। জেনে নিন ভালো ঘুমের জন্য ঠিক কীভাবে রাখবেন নিজের মুঠোফোন।
ঘুমের আগে ফোন নয়: চেষ্টা করুন ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেকোনো ধরনের ডিজিটাল পর্দা থেকে দূরে থাকা। পর্দার আলো ভালো ঘুমের শত্রু। ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে ফোন দূরে রাখা সবচেয়ে ভালো।
ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখুন: ঘুমাতে যাওয়ার আগে মুঠোফোনের ইন্টারনেট কিংবা ওয়াই–ফাই সংযোগ বন্ধ রাখতে পারেন। ইন্টারনেট সংযোগ খোলা থাকলে নোটিফিকেশনের শব্দ ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ঘুমে। এমনকি নোটিফিকেশনের শব্দ শুনে আগ্রহও তৈরি হতে পারে। ফলে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ঘুমের।
ফোন দূরে রাখুন: ঘুমাতে যাওয়ার সময় ফোন সঙ্গে নিয়ে ঘুমাবেন না। বরং ফোন ও আপনার মাঝে অন্তত ৬ ফুটের দূরত্ব রাখার চেষ্টা করুন। ফোন সঙ্গে নিয়ে ঘুমালে মন চাইবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে একটু ঢুঁ মারতে।
বালিশের পাশে ফোন রাখবেন না: অ্যালার্ম শোনার জন্য কিংবা যেকোনো প্রয়োজনে বালিশের পাশে ফোন রেখে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। হঠাৎ ফোন কিংবা মেসেজ এলে ভেঙে যেতে পারে কাঁচা ঘুম। এ ছাড়া মুঠোফোনের মতো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের সমস্যাও দেখা দিতে পারে যেকোনো সময়। ঘুমন্ত অবস্থায় সব সামলানোর সুযোগ নাও তো পেতে পারেন!
গান শুনতে শুনতে ঘুম নয়: গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। কানে ইয়ারফোন গুঁজে ঘুমিয়ে পড়ার ঘটনাও ঘটে অহরহ। এই বদভ্যাস মস্তিষ্কের জন্য বেশ ক্ষতিকর। ঘুম হচ্ছে মস্তিষ্কের বিশ্রামের সময়। সে সময়ে নিয়মিত বিরতিতে গান মস্তিষ্কের বিশ্রাম বাধাগ্রস্ত করে।
বিশেষ করে বাচ্চাদের হাতে মোবাইল ফোন দেওয়া একেবারেই উচিত নয়। বাচ্চারা মোবাইল ফোন পেলে অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকে এবং তাদের মস্তিষ্কসহ শরীর ও চোখের নানাবিধ ক্ষতি হয়ে যায়।