শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
spot_img

সেবা ক্লিনিকের ফার্মেসী ইনচার্জ’র রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা

সংবাদ১৬.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি বেসরকারী ক্লিনিকের ভিতরে জহিরুল ইসলাম (৪২) নামে এক ফার্মেসী কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী তাহিরা শবনম জুবাইদা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন। নিহত জহিরুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় সোনারগাঁ নতুন সেবা জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিকে ওই কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। গত বুধবার দুপুরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এঘটনায় নিহতের স্বজনরা ওইদিন ক্লিনিকের সামনে বিক্ষোভ করেছেন। পরে পুলিশ এ ঘটনায় ক্লিনিকের পরিচালকসহ ৫ জনকে আটক করে। বৃহস্পতিবার মামলা দায়েরের পর আটককৃতদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নিহতের ছোট ভাই কামরুল ইসলামের দাবি, তার বড় ভাই জহিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁ নতুন সেবা জেনারেল হাসপাতালের ফার্মেসীর ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে হাসপাতালে আসেন। পরবর্তীতে গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় তার ভাই মারা গেছেন। তিনি ও তার স্বজনরা হাসপাতালে এসে দেখেন জহিরুল ইসলামের লাশ একটি কক্ষে মেঝেতে পড়ে রয়েছে। তার হাত-পায়ে ইনজেকশন পুশ করার দাগসহ হালকা রক্তের ছাপ রয়েছে।

তিনি হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। তার দাবি, তার ভাইকে হত্যা করে লাশ ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে। রাতে ডিউটিরত সকলকে সকালে ডেকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ক্লিনিকের পরিচালক মনিরুল ইসলাম ও ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান ও আক্তারুজ্জামান এবং রাতের ডিউটি চিকিৎসক ডা. নাজমুল আলম হাসান ও ওয়ার্ডবয় মিন্টু মিয়াকে আটক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আটককৃতসহ ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক তদন্ত মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, ক্লিনিকে ফার্মেসী কর্মকর্তার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ৬ জনকে আসামী করে মামলা গ্রহন করা হয়েছে। আটককৃতদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। ক্লিনিকের সকল সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়