সংবাদ১৬.কমঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ মনিরুজ্জামানকে অপহরণ করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পরমশুরদী স্ট্যান্ড এলাকায় নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহর ছেলেসহ সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে। আহত ওই ইউপি সদস্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল চিকিৎসাধিন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত ইউপি সদস্যের ছেলে মোঃ বিশাল বাদি হয়ে গত মঙ্গলবার সকালে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, উপজেলা নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য মো.মনিরুজ্জামানের ছেলে বিশালের সঙ্গে পাশ্ববর্তী এলাকায় মোস্তফার সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শেখকান্দি এলাকা থেকে অটোযোগে অপহরণ করে নিয়ে যায় ওই এলাকার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপিত শহিদুল্লাহ সরকারের ছেলে জানে আলম, সাইফুল ইসলাম, সাব্বির সরকার ও নয়নসহ ১৪-১৫জনের একটি দল।
অপহরণ করে নিয়ে এক পর্যায়ে তাকে লোহার রড, দা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক ও এসএস পাইপ দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা করে। পরে তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় ইউপি সদস্যেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ইউপি সদস্য মোঃ মনিরুজ্জমান বলেন, এলাকার কয়েকজন যুবকের সঙ্গে আমার ছেলে কথাকাটাকটি ও হাতাহাতি হয়। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সোমবার পরিষদে কাজ শেষে বের হওয়ার পর নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ সরকারের ছেলে জানে আলমের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জনের একটি দল অটোযোগে আমাকে তুলে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে সে আমাকে কলেমা পড়ে নেওয়ার কথা বলে। আমাকে সেখানে হত্যা করবে।
আমাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। পরে তারা দা, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। অভিযুক্ত মোঃ জানে আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের এলাকার লোকজনকে বিনা দোষে মেম্বারের দুই ছেলে মারধর করে। তাদের ভয়ে এ এলাকার লোকজন বারদি বাজার করতে যেতে পারে না। তার ছেলেরা আমাদের এলাকার এক ছেলেকে নির্জন স্থানে নিয়ে গলায় দা ধরে হত্যা করবে বলে ভিডিও ধারণ করে সেটা তার ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করে। এ বিচার চাইতে গিয়ে তালবাহানা করে মনিরুজ্জামান মেম্বার। মিমাংসার জন্য নিয়ে আসার পর বিক্ষুদ্ধ লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করে।
ইউপি সদস্য মো.মনিরুজ্জামান এর স্ত্রী রত্না বেগম, বোন কামরুন নাহার, ডাঃ মজিবুর রহমান, সমাজসেবক রফিক উদ্দিন রব, বোন কামরুন নাহার জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সেইদিনও আমার ভাই নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে যায়,পরে স্হানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল্লাহ সরকারের ছেলে জানে আলম, সাইফুল, সাব্বিরসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা আমার ভাইকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানাচ্ছি একজন জনপ্রতিনিধিকে জীবনে মেরে ফেলার উদ্যেশে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই। ইউপি সদস্যের স্ত্রী রত্না বেগম জানান, একজন জনপ্রতিকে হত্যার উদ্যেশে যারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে সোনারগাঁও উপজেলার জনপ্রতি ও উপজেলা প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করি।
সোনারগাঁ থানার পরির্দশক তদন্ত মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
