নিজস্ব প্রতিবাদকঃ নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে যৌতুকের দাবিতে এক নববধূকে নির্যাতন করে গুম করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে স্ব-শরীরে থানায় উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীর মা মোসাম্মদ কহিনুর বেগম মেয়ের স্বামী,শশুর ও শ্বাশুড়িকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, সোনারগাঁ উপজেলার বাড়ি মজলিস এলাকার বলাকি আনোয়ারে ভাড়াটিয়া বাদল, তার ছেলে মোঃ বান্টি ও শ্বাশুড়ি নাদিরা।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এক মাস পূর্বে উপজেলার বাড়ি মজলিস এলাকার বাদল’র ছেলে মোঃ বান্টির (২৪) সাথে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কানাই নগর গ্রামের মোঃ মমিনের মেয়ে মিম (১৮) এর সাথে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক উভয় পরিবারের মর্জিতে সামাজিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর থেকেই নববধূ মিমকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করে আসছিলো শশুর বাড়ির লোকজন।
এর ধারাবাহিকতায় গত ১৪ জানুয়ারি শ্বশুর শ্বাশুড়ির প্রচারণায় নববধূর স্বামী মোঃ বান্টি ফার্নিচার বাবদ ২ লাখ টাকার দাবীতে নববধূকে মারধর করে বাড়ি থেকে বাহির করে দেয়।
ভুক্তভোগীর বাবা মেয়ের সুখের কথা ভেবে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বান্টির বাড়িতে মেয়েকে রেখে চলে আসে।
গত ২৭ জানুয়ারি নববধূর শ্বাশুড়ি নাদিরা মিমের পরিবারকে ফোন করে জানায় আপনার মেয়ে অন্য জাগায় চলে গেছে। মিমের পরিবার বান্টির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে মিমের পরিবারকে গালিগালাজ সহ প্রাননাশের হুমকি দেয়। যৌতুকের জন্য তার মেয়েকে গুম করা হয়েছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এই বিষয়ে নববধূর শ্বাশুড়ি মুঠোফোনে বলেন, আমাদের পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আল্লাহ আমাদের আনেক ধন-সম্পদ দিয়েছে, আমরা তাদের কাছে কখনো যৌতুকের টাকা দাবি করিনি। যদি যৌতুক চাইতাম তাহলে বিয়ের দিনই চাইতাম। আর তাকে আমি সহ আমাদের পরিবারের কেউ যৌতুকের টাকার জন্য মারধর করিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ বান্টির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটির সুইচ অফ পাওয়া যায়। সোনারগাঁ থানার ওসি তদন্ত আহসান উল্লাহ বলেন, উভয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।