বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ৩, ২০২৪

আমাদের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে বিএনপি’র দুই সহোদর: আব্দুল হালিম

সংবাদ১৬.কমঃ গত ২৭ জানুয়ারী “সোনারগাঁয়ে মামলা তুলে না নেয়ায় বাদির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসামীদের তান্ডব” শিরোনামে নারায়ণগঞ্জের কিছু লোকাল পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয় মামলা তুলে না নেয়ায় মামলার বাদির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙ্গচুর চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার আষাঢ়িয়ার চর এলাকার আব্দুর রউফ ও আব্দুল জলিল নামে দুই সহোদরের মালিকানাধীন মেসার্স জেবা প্লাস্টিক ফ্লেক্স কারখানায় হামলা ও ভাঙ্গচুরের অভিযোগ এনে সাবেক ইউপি সদস্য ও জাতীয় শ্রমিকলীগের মেঘনা শিল্পাঞ্চল শাখার যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম গংদের বিরুদ্ধে মামলার বাদি আব্দুর রউফ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করান। সংবাদে মামলার বাদি আব্দুর রউফ বলেন, গত ২২ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে দায়ের করা ৯৩৩ নং চাঁদাবাজি মামলার আসামী সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম ও তার পরিবার মামলা তুলে নিতে দীর্ঘদিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছিল।

গত শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে হালিমের নেতৃত্বে তার ছোট ভাই হুমায়ুন (৩৫), তার ছেলে শাখাওয়াত (২২), শাহ আলম, রুমান, জসিম, মেহেদী, ডালিমসহ আরো ২০-২৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের কারখানায় হামলা চালিয়ে কারখানায় কর্মরত কর্মচারিদের মারধর, মেশিনারি ভাঙ্গচুর ও লুটপাট করে এবং কারখানার প্রধান ফটকে তালাবদ্ধ করে চলে যায়।

উপরে উল্লেখিত প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ে ৩০ শে জানুয়ারি সোমবার গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিষ্ঠানটি তালা বদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী শ্রমিকের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দুই সহোদর আব্দুর রউফ ও আব্দুল জলিল এই কারখানাটির মালিক। কারখানার আয় ব্যয় নিয়ে তাদের দুই জনের মধ্যে বিরোধের জেরে চলতি মাসের ২৩ তারিখে বিনা নোটিশে কর্মীদের ছাটাই করে কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় এবং কারখানার প্রধান ফটকে তালা দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, আব্দুর রউফ ও জলিল তারা দুই ভাই। তাদের মধ্যে ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। যার কারনে তারা স্ব-ইচ্ছায় কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে।

পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আব্দুল হালিম বলেন, আমরা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। তারা আমাদের সাথে একই সমাজে সক্রিয় ভাবে বিএনপির রাজনীতি করে যাচ্ছে। আমরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন রকম হামলা, ভাংচুর করিনি। উল্টো আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে ও আমার ভাইদেরসহ আমাদের সম্মানহানি করতে অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি নেতা এই দুই সহোদর। আমরা এমন মিথ্যে ও বানোয়াট সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ বিষয় পল্লী বিদ্যুৎ আষাড়িয়ার চর জোনাল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী অহিদ জানান,আষাঢ়িয়ার চর এলাকার মেসার্স জেবা প্লাস্টিক ফ্লেক্স কারখানায় গত দুই মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে তাদেরকে পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে কিন্তু বিল পরিশোধ না করতে পেরে প্রতিষ্ঠানে স্বত্বাধিকারী আব্দুর রউফ নিজেই অফিসে এসে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করতে বলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কারখানার স্বত্বাধিকারী আব্দুর রউফের মোবাইল ফোনে কল করলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর লাইন কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেননি।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়