বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪

সোনারগাঁয়ে জ্যোতি বসুর স্মৃতিচিহ্ন

সংবাদ১৬ ডেস্কঃ প্রাচীন বাংলার রাজধানী ঢাকার পাশেই সোনারগাঁও। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদীতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর স্মৃতিচিহ্ন। জ্যোতি বসু দাদুর তৈরি বাড়িতেই শৈশব কাটিয়েছেন তিনি। তাঁর প্রকৃত বাড়ি নাগপাড়া মঠবাড়ি। যে ঘরে তিনি শৈশব কাটিয়েছেন, তা টেরাকোটা ধূসর হয়ে উঠেছে। জ্যোতি বসুর স্মৃতি ধরে রাখতে সেখানে গড়া হয়েছে পাঠাগার, সেমিনার হল ও মিউজিয়াম।

বারনীতে জ্যোতি বসুর বাড়িটি এখন কেবলই তার স্মৃতিতে ভরপুর। ২০৪ শতাংশ জায়গায় গড়ে ওঠা বাড়িটিতে রয়েছে একটি দ্বিতল ভবন, পুকুর ও একটি কৃষ্ণা। দেয়ালের নামফলক থেকে জানা গেছে, ১৩২৯ বাংলা সালের ২০ অগ্রহায়ণ তারিখে পাচু ওস্তাগানের মাধ্যমে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। দোতলা ভবনটির নিচতলায় রয়েছে দুটি বেডরুম ও একটি বৈঠকখানা এবং ব্যালন। বাড়ির মালিক জ্যোতি বসুর দাদু ও দিদিমার একমাত্র মেয়ে জ্যোতি বসুর মা হেমলতা। আর স্থানীয় ডাক্তার নিশিকান্ত বসু হেমলতাকে বিয়ে করে বাড়ি ও সম্পদের মালিক হন। জ্যোতি বসু ছিলেন ডা. নিশিকান্ত বসু ও হেমলতার ছেলে। জ্যোতি বসুর জন্ম ১৯১৪ সালের ৮ জুলাই। সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশনে তিনি লেখাপড়া করেছিলেন।

দেশভাগের পর ডা. নিশিকান্ত বসু সপরিবারে পশ্চিমবঙ্গে চলে যান। সেখানে ৪৩/ রিসন রোডের একটি বাড়িতে উঠেন। জ্যোতি বসু কলকাতায় পড়াশোনা করা অবস্থায় বেশ কয়েকবার এসেছিলেন এখানে। ১৯৭৭ সালের জুন মাস থেকে ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দ্বায়িত্বে ছিলেন। ১৯৮৭ সালের ৩০ জানুয়ারি সপরিবারে বাড়িটি এক নজর দেখে গিয়েছিলেন। এর পর মৃত্যুর আগে আসেন আরেকবার। সেটাও ১৯৯৭ সালে। ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়