বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
spot_img

খালেদা জিয়া বেঈমানী-আপোষ জানেননা বলেই তার এতো কষ্ট: গয়েশ্বর

সংবাদ ডেস্কঃ রোববার ২২ জানুয়ারি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের অসামান্য অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যে যুদ্ধ চলছে তাতে বিএনপি বেইমানি করবে না। দেশবাসীকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখনও জীবিত।তিনি বেইমানি-আপোষ জানেন না। তাই তার কপালে এত কষ্ট।

গয়েশ্বর বলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও বেইমানি-আঁতাত করার সুযোগ নেই। তার জীবন-মরণ মাতৃভূমিকে ঘিরে। তাই কেনাবেচার হাটে যদি কেউ না ওঠে, তাহলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত। বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, দেশের প্রতি জিয়াউর রহমানের ত্যাগ, অবদান, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, জনগণের দায়িত্ব নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান করা-এসব বিবেচনা করলে বোঝা যাবে তিনি ছিলেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ। তিনি দেশকে ভালোবাসতেন। তিনি খুব দ্রুত বুঝতে পারতেন এবং সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করতেন না।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির(ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়নি বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর। তিনি বলেন, আমি নাকি বলছি স্বাধীনতা বাই চান্স? স্বাধীনতা বাই চান্স আওয়ামীলীগের জন্য হতে পারে। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। দেশের মানুষ যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। কৃত্রিম ইতিহাস তৈরি করে আসল ইতিহাস বিকৃত করার স্বভাব অথর্ব, অযোগ্যদের। যাদের কোনো কিছু করার যোগ্যতা নেই, তারাই মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে টিকে থাকতে চায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, আওয়ামীলীগ বিশ্বাস করে ভিনদেশ তাদের স্বাধীন করে দিয়েছে। যে কারণে ভিনদেশ এখনও আমার দেশে খবরদারি করার সুযোগ পায়। আমরা জিয়ার সৈনিক আপামর জনগোষ্ঠী যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, তিনি বলেছেন দেশের মানুষ ভোট চোরদের পছন্দ করে না। ভোট চুরি যদি অপরাধ বুঝতে পারেন, তাহলে মানে মানে কেটে পড়ুন।

সভায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) জয়নাল আবেদীন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিরিন সুলতানা ও গণ-অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর প্রমুখ।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়