সংবাদ ডেস্কঃ সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জাতীয় সংসদ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে। সংসদে যেহেতু আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, ফলে দলটি যাকে মনোনয়ন দেবে, তিনিই রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসবেন।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, (১) রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে এ পদ শূন্য হলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী এপ্রিল মাসে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৩ সালের ২০ এপ্রিল প্রথম দফায় রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসার পর দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশের ২২তম ও প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি হতে পারেন শিরিন শারমিন চৌধুরী। বর্তমানে তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার হিসেবে রয়েছেন। আসছে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরই মধ্যে এর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এখন সবার কৌতূহল একটি’ই-রাষ্ট্রপতি পদে কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন?
জানা গেছে, আবদুল হামিদের মেয়াদ যেহেতু আগামী এপ্রিলেই শেষ হচ্ছে, সেই হিসেবে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে এই নির্বাচন করতে হবে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন-প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে কে আসতে পারেন, এ বিষয়ে কাজ করছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিকেই রাষ্ট্রপতি করা হবে। ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তবে আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি নিজে বিভিন্ন ব্যক্তির মতামতও নিচ্ছেন। দলীয় সভাপতি নিজের পছন্দের কথা এখনও জানাননি কাউকে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি জানুয়ারির শেষের দিকে রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম জানা যাবে।