শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
spot_img

কক্সবাজারে জোড়া খুনের ঘটনায় দুই সহোদর গ্রেফতার

কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ কক্সবাজার কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালস্থ পূর্ব লারপাড়া এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টের বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুই যুবক নিহত হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই সহোদরকে সোমবার গভীর রাতেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার রাত ১১ টার দিকে ঝিলংজা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পাশে হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলো, কায়সার আলম (৩৩) ও শাহেদুল ইসলাম (৩২)। তারা লারপাড়ার বাসিন্দা। কায়সার লারপাড়া এলাকার মনু ড্রাইভারের ছেলে ও পেশায় গ্রীণ লাইন কাউন্টারের নিরাপত্তাকর্মী এবং সায়েদুল নুরুল হুদার ছেলে ও পেশায় ফল বিক্রেতা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গেছে, ঝিলংজা প্রাইমারী স্কুলের পাশে ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্ট নিয়ে সোমবার রাতে স্থানীয় আতিকের সাথে তাদের তর্কাতর্কি হয়। পরে আতিক, তার ভাই কামাল, জয়নাল, তার স্বজন মিজান, মুফিজসহ আরো কয়েকজন এসে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় সায়েদুল ও কায়সারকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান জানান, দু’জনেরই শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। নিহতদের স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে।

মঙ্গলবার দুপুরে দুই জনের ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এদিকে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম জানান, জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা পূর্ব লারপাড়ার আব্দুল খলিলের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩২) ও তার ভাই কামাল উদ্দিন(২৬)। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২ জন হত্যাকারী গ্রেফতার এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ সুপার মোঃ মাহাফুজুল ইসলাম পিপিএম(বার) এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) অলক বিশ্বাস এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম, ইন্সপেক্টর (তদন্ত), ইন্সপেক্টর(অপারেশন্স), অফিসার ও ফোর্সসহ কক্সবাজার সদর মডেল থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায়। জোড়া খুন মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ধৃত কামালের খুরুশকুলস্থ শ্বশুর বাড়ীর পার্শ্ববর্তী ঘর থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়। পলাতক আসামী আতিককে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

আরো দেখুন
Advertisment
বিজ্ঞাপন

সবচেয়ে জনপ্রিয়